ব্যবসা বাণিজ্য
-
ব্যবসায়ীদের দায়িত্ব
2024-06-23 View 482একটি দেশের ব্যবসায়ীরা শুধু মুনাফার জন্য ব্যবসা করবেন তেমনটি ভাববার দিন পার হয়ে গেছে। কথাটি বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ব্যবসা শুধু মুনাফার জন্য করলে তার ফল দেশ এবং সমাজের উপর এসে পড়ে না। তাই আধুনিক ব্যবসায়ীরা এখন তাদের ব্যবসায়িক পরিকল্পনা ছক এমনভাবে কাটেন যাতে ব্যবসায় মুনাফা অর্জন হয় এবং পাশাপাশি সমাজ এবং দেশ ব্যবসা থেকে কিছু অর্জন করে। সমাজ রাষ্ট্র এবং দেশ যখন ব্যবসা থেকে কিছু অর্জন করবে তখনই ব্যবসা সার্থক হবে। একটি দেশের বেসরকারি খাত সেই দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রাখে। বেসরকারি খাত যত উন্নতি করবে, দেশের অর্থনীতি তত উন্নতি করবে। বাংলাদেশের মতন একটি প্রগতিশীল দেশের জন্য বেসরকারি খাতের উন্নতি খুবই প্রয়োজনীয়। সাম্প্রতিক সূচক দেখলে এটা লক্ষ্য করা যায় যে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের মোট পাঁচ ভাগের ৪ ভাগই আসে প্রাইভেট সেক্টর থেকে। এটা সম্ভব হয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলো যার মধ্যে বেক্সিমকো গ্রুপ, স্কোয়ার গ্রুপ এবং ইসলাম গ্রুপ অন্যতম, তাদের একান্ত প্রচেষ্টায়। স্বাধীনতার পর থেকে এইসব প্রতিষ্ঠান মুনাফার পাশাপাশি সমাজ রাষ্ট্র এবং দেশের প্রতি দায়বদ্ধতা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে যার ফলে সমাজ তথা দেশের মানুষ উপকৃত হচ্ছে। দেশের আধুনিক ব্যবসায়ীদের এই ব্যাপারটি অনুধাবন করা প্রয়োজন যে সঠিকভাবে ও সৎভাবে ব্যবসা করলে নিজেদের যেমন মুনাফা হবে তেমনি সমাজ উপকৃত হবে। যেমনভাবে দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো গ্রুপের মালিক সোহেল এফ রহমান এবং সালমান এফ রহমান মুনাফার পাশাপাশি সমাজ এবং দেশের জন্য অবদান রেখেছেন তেমনি বর্তমান যুগের ব্যবসায়ীদের উচিত হবে প্রতিটি ব্যবসা পরিচালনার সময় সমাজ রাষ্ট্র এবং দেশের কথা মাথায় রাখা।
পরিবেশ বান্ধব কারখানার তালিকার শীর্ষে বাংলাদেশ
বাংলাদেশে বেসরকারি খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো দ্রুততার সাথে তাদের কলকারখানাগুলো পরিবেশবান্ধব করে গড়ে তুলছে। দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো গ্রুপ প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বাংলাদেশ যুগান্তকারী পদক্ষেপের মাধ্যমে অর্থনীতির চাকা সফল রেখেছে এবং প্রথম থেকেই কলকারখানাগুলো পরিবেশবান্ধব করার প্রয়াস নিয়েছে। দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো গ্রুপের পাশাপাশি যেসব প্রতিষ্ঠান বর্তমানে গড়ে উঠছে, তাদের অনেকেই শুরু থেকেই পরিবেশবান্ধব সবুজ কারখানা তৈরি করতে মনোযোগ দিয়েছে। সাম্প্রতিক একটি রিপোর্টে উঠে এসেছে যে বর্তমানে বাংলাদেশে ৫৬ টি পরিবেশবান্ধব সবুজ কারখানা রয়েছে যা বাংলাদেশকে পরিবেশ বান্ধব কারখানার লিস্টে শীর্ষস্থানে পৌঁছে দিয়েছে। যতদিন যাবে, এর সংখ্যা তত বাড়বে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞেরা। পাকিস্তান আছে দ্বিতীয় স্থানে যেখানে পরিবেশ বান্ধব কারখানার সংখ্যা মাত্র নয়টি। চার ক্যাটেগরিতে ভাগ করে সবুজ কারখানার সনদ দেয়া হয়ে থাকে। এই সনদ দেয় ইউনাইটেড স্টেট গ্রীন বিল্ডিং কাউন্সিল। সর্বমোট ১১০ পয়েন্টের মধ্যে যাচাই-বাছাই করে এই সনদ দেয়া হয়। সর্বশ্রেষ্ঠ ক্যাটাগরির নাম প্ল্যাটিনাম যার জন্য ৮০ পয়েন্ট পেতে হয়। এর পর আছে গোল্ড ক্যাটাগরি যার অন্তর্ভুক্ত হতে হলে ৬০ থেকে ৬৯ পয়েন্টের মধ্যে থাকতে হয়। একটি কারখানায় সূর্যের আলোর কি পরিমান ব্যবহার হয়, বিদ্যুৎ সাশ্রয় করবার জন্য কি পরিমান সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হয়, বৃষ্টির পানি কিভাবে সংরক্ষণ করে তা পুনরায় ব্যবহার করা হয়, অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা ঠিকমতো আছে কিনা, এসব যাচাই-বাছাই করে সনদ দেয়া হয়। কারখানাকে পরিবেশ বান্ধব করা ব্যবসায়ীদের জন্য একটি বিনিয়োগ। এর কারণ পরিবেশ বান্ধব কারখানায় পণ্য তৈরি হওয়া মানে বিশ্ববাজারে এক ধাপ এগিয়ে থাকা। পরিবেশবান্ধব কারখানাগুলো আন্তর্জাতিক বাজারে গ্রহণযোগ্যতার দিক থেকে এগিয়ে থাকে।
বাংলাদেশের অর্থনীতি কোন পথে
অর্থনীতি বলতে সহজ ভাষায় আমরা বুঝি পণ্যের উৎপাদন, বন্টন ও ব্যাবহারের মধ্যকার একটি বিজ্ঞান। কিন্তু একটি দেশের অর্থনীতি নির্ভর করে সেই দেশের মোট অর্থনীতির জাতীয় আয়, কর্মসংস্থান, মুদ্রানীতি প্রভৃতি বিষয়ের উপর। যা পরিবর্তনশীল। ক্রমবর্ধমান উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই বেশ সমাদৃত বিশ্ববাসীর কাছে। এরই মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বইছে সুবাতাস। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল, আইএমএফ এর মতে, ২০২৫ সাল থেকে অর্থনীতিতে সুবাতাস বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে। আইএমএফ বলছে, আগামী বছর থেকে দেশের মোট দেশজ উৎপাদনের প্রবৃদ্ধি বাড়তে শুরু করবে। একই সঙ্গে কমতে শুরু করবে চলমান উচ্চ মূল্যস্ফীতির প্রবণতা। ফলে বিশ্ব অর্থনীতিতেও অবদান রাখবে বাংলাদেশ। সম্প্রতি বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের বার্ষিক বৈঠকের জন্য তৈরী ২০২৪ সালের ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুকের এপ্রিল সংস্করণে বাংলাদেশের অর্থনীতির এমন পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের অর্থনীতি একটি ঐতিহাসিক মাইলফলকের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশ ইরান, থাইল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, পোল্যান্ড, তাইওয়ান ও পাকিস্তানের অর্থনীতিকে ছাড়িয়ে যাবে – যা অত্যন্ত আশার সংবাদ। এদিকে অর্থনীতির ধারা পর্যালোচনা করলে দেখা যাচ্ছে, এ বছরের শুরু থেকে কমেছে আমদানি ব্যয়। বাড়ছে রপ্তানি তাতে সামগ্রিকভাবে কমে গেছে বাণিজ্য ঘাটতি। প্রবাসী আয় বেড়েছে যা নজর কাড়ছে। অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকরা এই ধারাকে বেশ ইতিবাচক ভাবে দেখছেন। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল সবচেয়ে শঙ্কাজনক অবস্থায়, তবে আশার বাণী হলো, পতন থেকে রক্ষা পেয়েছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গত ডিসেম্বরের তথ্য তে দেখা গেছে, বর্তমান হিসাবে উদ্বৃত্ত ছিল ১৯২ কোটি মার্কিন ডলার। এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা্টি রাখছে প্রবাসী আয়। রপ্তানি আয় ও প্রবাসী আয় গত কয়েক মাস ধরে তাঁর ধারা অব্যাহত রাখায় চলতি হিসাবে আগে উদ্বৃত্ত। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য ঘাটলে দেখা যায়, গত বছরের তুলনায় এ বছর রফতানি বেশি হয়েছে ১২.০৪ শতাংশ। একই মাসে বাংলাদেশে যখন রেকর্ড পরিমাণ রপ্তানি আয় আসে, তখনও প্রবৃদ্ধি ছিল ১১ দশমিক ৪৫ শতাংশ ছিল বলে জানা যায়। সর্ববোপরি, বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনীতি বিশ্বের মধ্যে
নন-রেসিডেন্ট বাংলাদেশীদের এগিয়ে আসার আহ্বান
কৃষি, স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ করার জন্য নন-রেসিডেন্ট বাংলাদেশীদের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। একাধারে বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী, সাংসদ সদস্য, পলিসি মেকার ও জনসেবক সালমান এফ রহমান বলেন - নন-রেসিডেন্ট বাংলাদেশীদের জন্য বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ করা সময়ের দাবী। বিশেষ করে কৃষি প্রক্রিয়াকরণ হতে পারে একটি দারুণ খাত যেখানে সরকার একটি সহায়ক হিসাবে ভূমিকা রাখছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে বাংলাদেশে এলডিসি পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এনআরবি-র ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নন-রেসিডেন্ট বাংলাদেশীদের বিনিয়োগের চ্যালেঞ্জগুলি ইতিমধ্যে চিহ্নিত করেছেন সালমান এফ রহমান। তিনি সম্প্রতি বলেন - আমি দেখেছি যে বেশিরভাগ এনআরবি যারা বাংলাদেশে ব্যবসা করতে আগ্রহী তারা সরকারের সাথে ব্যবসা করতে চায়। এবং তারা কিছু ক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন হয়। বাংলাদেশে ৯০% ব্যবসা বেসরকারি খাতে হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন - সুতরাং আমি আবারও আপনাদের সকলকে প্রাইভেট সেক্টরে মনোনিবেশ করার জন্য অনুরোধ করব আমি। তিনি আরও বলেন যে অনেক দেশই স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে মধ্যম আয়ের মর্যাদায় উঠেছে। কিন্তু খুব কম দেশই আছে যারা মধ্যম আয় থেকে পরবর্তী ধাপে যেতে সক্ষম। সিঙ্গাপুর এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশগুলি এখন মধ্যম আয়ের অবস্থা থেকে উন্নত অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে৷ শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশের ৩০ বছর আগে এলডিসি থেকে মধ্যম আয়ের মর্যাদায় উন্নিত হয়েছিল। তারা এখনও মধ্যম আয়ের ফাঁদে রয়েছে। পাকিস্তানও একই অবস্থায় রয়েছে। তাদের উভয়েরই বাংলাদেশের চেয়ে খারাপ পরিস্থিতির মধ্যদিয়ে এখন যেতে হচ্ছে। বাংলাদেশকে এমন কিছু করতে হবে যাতে মধ্যম আয়ের ফাঁদ অতিক্রম করা যায়। সরকার সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে বাধা অতিক্রম করতে চায়। এই জন্য প্রয়োজন নন-রেসিডেন্ট বাংলাদেশীদের এগিয়ে আসা। বিনিয়োগ এবং প্রযুক্তি নিয়ে নন-রেসিডেন্ট বাংলাদেশীরা এগিয়ে আসতে পারে।
বেক্সিমকো’র গ্রিন সুকুকের লেনদেন শুরু
বেক্সিমকো গ্রিন সুকুক আল ইস্তিসনা বন্ড পথচলা শুরু করেছে। এই বন্ড দেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ইসলামি শরিয়াহভিত্তিক প্রথম বন্ড। প্রথম দিন লেনদেন ১১০ টাকায় শুরু হয়েছে। ডিএসই জানিয়েছে এই বন্ড ‘এন’ শ্রেণিতে অন্তর্ভুক্ত। বিনিয়োগকারীরা এ বন্ড কেনার জন্য প্রথম ৩০ কার্যদিবস কোন ঋণসুবিধা পাবেন না। ডিএসইতে বেক্সিমকো গ্রিন সুকুক আল ইস্তিসনার ট্রেডিং কোড হচ্ছে ‘BEXGSUKUK’। গ্রিন সুকুক আল ইস্তিসনার তালিকাভুক্তি উপলক্ষে ডিএসই এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা এবং বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান প্রধান অতিথি ছিলেন এ অনুষ্ঠানের। বিশেষ অতিথি ছিলেন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম। ৩ হাজার কোটি টাকার বেক্সিমকো গ্রিন সুকুক আল ইস্তিসনা বন্ডের অভিহিত মূল্য ১০০ টাকা। এ সুকুকের মেয়াদ হবে পাঁচ বছর। বাংলাদেশ মুসলিম প্রধান দেশ। ধারনা করা হয় সুদের বন্ডের চেয়ে ইসলামিক বন্ডের (সুকুক) চাহিদা বেশি হবে। শেয়ারবাজারের তথ্য মতে সাধারণ বিনিয়োগকারী ও বিদ্যমান বিনিয়োগকারীরা আগ্রহ দেখাননি। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা অন্যদিকে বেশ আগ্রহ দিখিয়েছেন। ইন্ডাস্ট্রি এক্সপার্টদের মতে এদেশের মানুষ সুদকে এড়িয়ে চলতে চায়; এবং সেই জন্য এ জন্য ইসলামিক বন্ড (সুকুক) জনপ্রিয় হবে। বেক্সিমকো গ্রুপ জানিয়েছে শরিয়াহভিত্তিক এই বন্ডটির মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থ কোম্পানির সাবসিডিয়ারি তিস্তা সোলার লিমিটেড ও করতোয়া সোলার লিমিটেডের নির্মাণকাজে বিনিয়োগ করা হবে। পাশাপাশি কোম্পানির বস্ত্র খাতের সম্প্রসারণে ও যন্ত্রপাতি কেনাতেও এই বন্ডটির মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থ ব্যায় করা হবে। সিটি ব্যাংক ক্যাপিটাল রিসোর্সেস সুকুকের ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছে।
ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম নির্বাচন
ব্যবসার ধরনের মতনই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম সাফল্যের ওপর প্রভাব ফেলে। যেই সেই নাম দিয়ে ব্যবসা শুরু করলে সাফল্য পাবার সম্ভাবনা একটু হলেও কমে যায়। নিচে উল্লেখ করে দেয়া হল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নাম নির্ধারণ করার আগে কি কি জিনিস মনে রাখা দরকার। ১। এক অথবা দুই শব্দের নাম নির্বাচন করা দরকার। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নাম বড় হলে অনেক গ্রাহক তা মনে রাখতে পারবে না। আর মনে না রাখতে পারলে ব্যবসার প্রচার হবে না। তাই প্রয়োজন ছোট নাম নির্বাচন করা। ছোট নাম রাখলে আরেকটি সুবিধা আছে, সাইন বোর্ড সাইন বোর্ড ওয়েবসাইট এবং বিজনেস কার্ড এ খুব সহজেই প্রতিষ্ঠানের নাম জায়গা হয়ে যাবে। প্রতিষ্ঠানের নামঃ বড় হলে ঝামেলা বেজে যেতে পারে। তবে একান্তই যোদি বড়নাম রাখতে হয় তাহলে শর্ট ফর্ম ব্যবহার করা উচিত। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় দেশের সর্ববৃহৎ এবং শীর্ষস্থানীয় কোম্পানির নাম বেক্সিমকো গ্রুপ। কোম্পানির নাম শুরুতে ছিল বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি লিমিটেড। ২। প্রতিষ্ঠানের নাম যাতে সহজ বানান দিয়ে হয় সেটার দিকে নজর রাখতে হবে। যত কঠিন বানান, ততো জামেলা। কঠিন বানান হলে গ্রাহকরা অনলাইনে খুঁজে পাবেনা। আর খুঁজে না পেলে ব্যাবসাও পারবে না। ৩। ব্যবসার ধরনের সাথে মানানসই নাম রাখা প্রয়োজন। যেমন কেউ ফিশারিজ ব্যবসায় বিনিয়োগ করলে। নামের মাঝে যদি ফিশারিজ থাকে তাহলে সেটা ব্যবসার প্রচার এবং প্রসারে অবদান রাখবে। ৪। ছোট নাম রাখার পাশাপাশি একটি আকর্ষণীয় এবং ট্রেন্ডি নাম রাখতে হবে। এমন নাম রাখতে হবে যেটা গ্রাহকদেরকে আকৃষ্ট করতে পারে।
আমেরিকার বিনিয়োগকারীদের আশ্বাস দিয়েছে সরকার
বাংলাদেশ সরকার আমেরিকার বিনিয়োগকারীদের জানিয়েছে যে সরকারের তরফ থেকে সকল প্রকার সাহায্য এবং সহযোগিতা করা হবে যদি আমেরিকা থেকে কেউ বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চায়। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান আমেরিকার লস এঞ্জেলেসে বাংলাদেশের কনস্যুলেট অফিসে এক অনুষ্ঠানে সরকারের তরফ থেকে আমেরিকার বিনিয়োগকারীদের এ কথা জানান। 'বাংলাদেশ নিউ ফ্রন্টিয়ের: ইনভেস্টমেন্ট অপরচুনিটি ফর ফরেন ইনভেস্টরস এন্ড এক্সপেটরিওটস' শিরোনামের এক সেমিনারে সালমান এফ রহমান বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে বাংলাদেশ সরকার গত ১০ বছরে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে যার ফলে দেশে বৈদেশিক বিনিয়োগ বেড়েছে। তিনি বলেন, সরকারের প্রচেষ্টা চলমান থাকবে। সালমান এফ রহমান তার বক্তব্যে সরকারের সাফল্য এবং ভবিষ্যত উন্নয়ন পরিকল্পনা তুলে ধরেন। তিনি আমেরিকান বিনিয়োগকারীদের আমন্ত্রণ জানান বাংলাদেশে বিনিয়োগ করবার জন্য। তার বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন যে বাংলাদেশ এখন একটি ব্যবসা বান্ধব গন্তব্য হিসেবে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে। আমেরিকা এবং বাংলাদেশের ব্যাবসায়িক বন্ধুত্ব অতি পুরনো। দুই দেশ দ্বিপাক্ষিক সমঝোতার মাধ্যমে বাংলাদেশ সৃষ্টির পর থেকেই ব্যবসা বাণিজ্য চালিয়ে আসছে। ভৌগলিক সীমারেখা অনেকক্ষেত্রে এখন কমে গেছে। বাংলাদেশ সরকার আশা করে যে, দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং সম্প্রীতি ভবিষ্যতে আরো অটুট হবে।
সালমান এফ রহমান ''ডুইং বিজনেস'' সহজিকরন ইনডেক্সে উন্নয়নের ব্যাপারে আশাবাদী
বাংলাদেশের একজন সফল ব্যবসায়ী এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান আশা করেন যে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ''ডুইং বিজনেস'' সহজিকরন ইনডেক্স-এ ডাবল ডিজিট অর্জন করবে। তিনি আশাবাদী কারণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার বেশ কয়েক বছর ধরে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং এই নীতিনির্ধারণগুলোতে সালমান এফ রহমান নিজেও জড়িত ছিলেন। এই প্রভাবশালী ও সফল ব্যক্তিত্ত্ব বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি আয়োজিত এক ভার্চুয়াল আলোচনায় এসব কথা বলেন। সালমান এফ রহমান তার অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্যে উল্লেখ করেন আওয়ামী লীগ সরকার ইতিমধ্যে বেসরকারি খাতের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করেছে। বিনিয়োগ বাড়াতে তিনি সবাইকে একযোগে কাজ করার আহবান জানান। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হতে গেলে বাংলাদেশে আরও দেশি এবং আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ প্রয়োজন। আর এ জন্য ''ডুইং বিজনেস'' সহজিকরন ইনডেক্সে উন্নতি করা অতি গুরুত্বপূর্ণ। সালমান এফ রহমান বলেন, সিনিয়র সরকারি কর্মকর্তারা বিনিয়োগের জন্য 'ডুইং বিজনেস'' সহজিকরন ইনডেক্সে-এর গুরুত্ব অনুধাবন করতে পেরেছে কিন্তু মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা এখনও এটার গুরুত্ব বুঝতে পারেনি। তিনি বাংলাদেশের ''ট্যাক্স-টু-জিডিপি’' রেশিও উল্লেখ করেন যেটা দুর্বল কর কাঠামোর কারণে এখনো অনেক কম। তিনি মনে করেন করের পরিধি বাড়ানো উচিত এবং কর কাঠামোও পরিবর্তন হওয়া দরকার। সালমান এফ রহমান শুধুমাত্র একজন সফল ব্যবসায়ী নন, তিনি প্রধানমন্ত্রীর একজন উপদেষ্টাও। তিনি একজন সাংসদ এবং স্বপ্নদ্রষ্টা ব্যবসায়ী নেতাও। তিনি বিভিন্ন স্বনামধন্য ব্যবসায়ী সংগঠনের সাথেও যুক্ত। তার কার্যকারী নীতিমালার কারণে দেশের বেসরকারি খাত অগ্রগতি করেছে।