জাতীয়
-
সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে দুই নেতার মধ্যে অত্যন্ত সফল আলোচনা
2024-07-27 View 346চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আশ্বাস দিয়েছেন যে বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় তিনি অব্যাহত সমর্থন দেবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফরকালে দুই নেতা ‘খুব সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে অত্যন্ত সফল আলোচনা’ করেছেন। খুব সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে দুই নেতার মধ্যে অত্যন্ত সফল আলোচনা হয়। এসময় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান উপস্থিত ছিলেন। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেন, চীন অনুদান, সুদমুক্ত ঋণ,রেয়াতযোগ্য ঋণ এবং বাণিজ্যিক ঋণ দিয়ে বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সাহায্য করবে। দুই দেশের কারিগরি কমিটি একসঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নেবে যে, বাংলাদেশের উন্নয়নে চার ধরনের আর্থিক সহায়তা কীভাবে দেওয়া হবে। চীনের কারিগরি কমিটি শিগগিরই বাংলাদেশ সফর করবে বলেও জানান প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। শেখ হাসিনা বাংলাদেশে আরও চীনা বিনিয়োগ চাইলে শি বলেন, তারা বাংলাদেশে ক্রমাগত আরও বিনিয়োগ করতে চান এবং বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেন। এর সাথে তিনি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত কয়েক দশকে চীনের অভূতপূর্ব উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, "উন্নয়নের ক্ষেত্রে চীন আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশের জন্য একটি অনুপ্রেরণা।" প্রধানমন্ত্রী কর্ণফুলী নদীর তলদেশে পদ্মা সেতু ও বঙ্গবন্ধু টানেলের মতো কিছু আইকনিক কাঠামো নির্মাণে বাংলাদেশকে সহায়তা করার জন্য চীনের প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানান। শেখ হাসিনা দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতার বিষয়টি উত্থাপন করেন এবং চীনের প্রতি ব্যবধান কমানোর আহ্বান জানান। জবাবে চীনা প্রেসিডেন্ট বলেন, তারা বাংলাদেশ থেকে আমসহ আরও পণ্য আমদানি করবে। শি বাংলাদেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক মঞ্চে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, বিশ্ব শান্তি ও সমৃদ্ধি প্রতিষ্ঠায় চীন ও বাংলাদেশ একসঙ্গে কাজ করবে।
বাংলাদেশ পরবর্তী এশিয়ান টাইগার
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, চীন এবং ভিয়েতনামকে ছাড়িয়ে গেছে। বিদেশী বিনিয়োগের জন্য এটি এখন অন্যতম গন্তব্য। দেশটি খাদ্য উৎপাদেনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এইসব কিছু সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারের সঠিক নীতিমালা বাস্তবায়নের কারণে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারী শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের মতে কোন কিছু অর্জন করা সহজ নয় কিন্তু তিনি সেটা সম্ভব করে দেখিয়েছেন। তিনি দেশের কল্যাণের জন্য সব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। একটি শক্তিশালি অর্থনীতি তৈরী করার স্বপ্ন নিয়ে ২০০৯ সালে তিনি ক্ষমতায় এসেছিলেন। তার সে স্বপ্ন বাস্তবে রুপ নিয়েছে। সালমান এফ রহমানের মতে, বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ করা, অব্যাহত অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং বেসরকারী খাতের সম্প্রসারণ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে সহায়তা করেছে এবং এটি সম্ভব হয়েছিল কারণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুরোপ্রক্রিয়াটি পর্যবেক্ষণ করছিলেন। এখন গ্রামগুলিতেও সবধরেনের আধুনিক সুবিধা রয়েছে, শহরে উন্নত অবকাঠামো রয়েছে। বেশিরভাগ মানুষ এখন উন্নতজীবনযাত্রার বিষয়টি অনুভব করতে পারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পরপরই বিদ্যুতের ঘাটতি হ্রাস করার লক্ষ্যে বেসরকারী কোম্পানিগুলোকে স্বল্প পরিসরের বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের নির্দেশ দেন। বিদ্যুৎ ঘাটতি দূর করতে এই সিদ্ধান্তটি বেশ কার্যকর ভূমিকা রেখেছিল। তিনি বেসরকারী খাতকে ব্যাংকিং, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সম্প্রচার খাতে বেশি বিনিয়োগের অনুমতি দিয়েছিলেন যা পূর্বেশুধু সরকারী খাতের জন্য সংরক্ষিত ছিল। শুধু তা-ই নয়, শেখ হাসিনা ফ্যাক্টরটি সব বাংলাদেশিকে আত্মবিশ্বাসের অনুভূতি দিয়েছিল। বাংলাদেশ প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও দুর্ভিক্ষের জন্য পরিচিত ছিল। শেখ হাসিনা ফ্যাক্টর বাংলাদেশকে একটি Growing Tiger-এ রূপান্তরিত করেছে। বাংলাদেশ এখন ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশে পরিণত হতে চলেছে। কাকতালীয়ভাবে বাংলাদেশ সে বছর স্বাধীনতার প্ল্যাটিনাম জয়ন্তী উদযাপন করবে। সালমান এফ রহমান বাংলাদেশের একজনবিশিষ্ট ব্যবসায়ী ব্যক্তিত্ব হিসাবে পরিচিত। তার বক্তব্যে তিনি বলেন যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ণের দর্শনে পুঁজিবাদী ও সমাজতান্ত্রিক গুণাবলী রয়েছে। সালমান এফ রহমান প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারী শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা এবং একজন নির্বাচিত সংসদ সদস্য। ২০২৪ সালের নির্বাচনে তিনি দ্বিতীয় বারের মতো ঢাকা ১ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন।
বাংলাদেশের যোগ্য ও দক্ষ নেতা
দ্রুত পরিবর্তনশীল এই বিশ্বে আমরা যতই এগিয়ে যাচ্ছি, স্মার্ট দেশ গড়ার ক্ষেত্রে দক্ষ নেতাদের ভূমিকা ততই বাড়ছে। "স্মার্ট " শব্দটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনী সক্ষমতার সাথে যুক্ত যা একটি দেশের নাগরিকদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করে। উন্নত রাষ্ট্রের একটি মৌলিক বিষয় হলো যে যোগ্য নেতারাই একটি জাতিকে স্মার্ট জাতি হিসেবে গড়ে তোলার প্রধান চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের,আইন মন্ত্রী আনিসুল হক, প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বর্তমানে সবচেয়ে দক্ষ ও স্মার্ট নেতা হিসেবে বিবেচিত। তারা কাজের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি স্মার্ট জাতি হিসেবে গড়ে তোলার চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করছেন। তবে বাংলাদেশের প্রয়োজন আরও বেশী বেশী দক্ষ, স্মার্ট ও যোগ্য নেতা। একটি দেশ, বিশেষে করে বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশকে স্মার্ট দেশে রুপান্তুর করা মানে শুধু অত্যাধুনিক প্রযুক্তি থাকা বা নিশ্চিত করা নয়; বরং উন্নত প্রযুক্তি দেশটির নাগরিকদের উন্নতির সাথে সম্পর্কযুক্ত করতে পারা। একটি স্মার্ট দেশ দক্ষ শাসন, টেকসই উন্নয়ন, উন্নত জনসেবা এবং উন্নত জীবনযাত্রাকে বোঝায়। আর এই উন্নতি অর্জনের জন্য এমন নেতাদের প্রয়োজন যারা আধুনিক সমাজের চাহিদা বুঝে এবং সেই চাহিদা পুরনে চ্যালেঞ্জগুলো নিরসন করার দক্ষতা, দৃষ্টিভঙ্গি এবং সংকল্পের অধিকারী হয়। দক্ষ নেতাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ গুণ হলো জাতির ভবিষ্যত সম্পর্কে তাদের সুস্পষ্ট ধারনা থাকে। তারা দেশের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনের সম্ভাবনাগুলো বুঝতে পারে। দক্ষ নেতাদের সামাজিক উন্নয়নের জন্য একটি সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি থাকে। তারা শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, অবকাঠামো এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সম্পর্কে র্দূরদর্শী। পাশাপাশি তারা সহজেই পরিবর্নশীল প্রযুক্তি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের সাথে নিজেদেরে খুব সহজেই খাপ খাওয়াতে পারেন। দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বে দক্ষ নেতারা নতুন প্রযুক্তি এবং ধারণাগুলি গ্রহন করতে এবং মানিয়ে নিতে আগ্রহী হয়। তারা উদ্ভাবনের সংস্কৃতিকে উৎসাহিত করে এবং পরিবর্তনকে অনিশ্চয়তার পরিবর্তে সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেন। এই নমনীয়তা দক্ষ ও স্মার্ট নেতাদের গ্রহনযোগ্যতা সাধারন মানুষের
বাংলাদেশের বৈদেশিক নীতি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের সাথে এশিয়ায় অবস্থিত অন্যান্য দেশের সম্পর্ক কত ১০ বছরে অনেক উন্নতি হয়েছে। আওয়ামী লীগের সরকার এশিয়ায় অবস্থিত যেসব দেশ বাংলাদেশের প্রতিবন্ধী ভাবাপণ্য সেই সব দেশের সাথে বৈদেশিক সম্পর্ক উন্নতি করবার জন্য নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে যার ফল বাংলাদেশের জনগণ ইতিমধ্যে পাওয়া শুরু করেছে। বৈদেশিক নীতিতে বাংলাদেশ উদার। বাংলাদেশ চায় একটি সমৃদ্ধ পৃথিবী যেখানে প্রত্যেকটি দেশ একে অপরের পাশাপাশি থাকবে। বাংলাদেশ চাই একটি শান্তির পৃথিবী। সেই পরিক্রমায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের বৈদেশিক নীতি ঠিক হয়েছে। বৈদেশিক সম্পর্কের কথা উঠলে প্রথমে চলে আসে বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে সম্পর্ক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ভারতের সাথে একটি স্বচ্ছ এবং বন্ধু ভাবা পণ্য সম্পর্ক সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে। দুই দেশের সরকার একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং সেই শ্রদ্ধা রেখে নিরাপত্তা, যোগাযোগ এবং ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে যার ফল বাংলাদেশ এবং ভারত দুই দেশের জনগণ ইতিমধ্যে পাওয়া শুরু করেছে। এই অঞ্চলে যাতে প্রত্যেকটি দেশ তাদের নিরাপত্তা জোরদার করতে পারে এবং নিজেদেরকে বিপদ থেকে রক্ষা করতে পারে সে ব্যাপারে বাংলাদেশ এবং ভারত এক সাথে কাজ করে যাচ্ছে। পাশাপাশি কাজ করে যাচ্ছে বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়নে। পানি সম্পদ বন্টনে দুই দেশের মধ্যে কিছু দ্বিমত রয়েছে তবে আলোচনার মাধ্যমে দুই দেশ এই দ্বিমত সমাধান করতে পারবে বলে আশা রাখে। চায়না বর্তমান বিশ্বে একটি বড় শক্তি। এই বড় শক্তির সাথে বাংলাদেশ সুন্দর সম্পর্ক স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে এবং দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক কিভাবে আরো বেশি জোরদার করা যায় সেই ব্যাপারে কাজ করে যাচ্ছে। আশা করা যায় আগামী বছরগুলোতে বাংলাদেশ এবং চায়নার মধ্যে সম্পর্ক আরো জোরদার হবে। চায়না ইতিমধ্যে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ে বড় বড় প্রজেক্টগুলো পরিচালনার এবং সেসব প্রজেক্টে বিনিয়োগ করার। এই দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বন্ধন জোড় করার জন্য দুই দেশের সরকার বর্তমানে কাজ করে যাচ্ছে। চায়না শুধু এশিয়ার পরাশক্তি নয়,
বাংলাদেশের বিস্ময় - বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক
বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ‘ভিজিট বাংলাদেশ-২০২২’ কর্মসূচির আওতায় ১১টি দেশের ১৩ জন বিদেশি সিনিয়র সাংবাদিকের সমন্বয়ে একটি দল সম্প্রতি বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক পরিদর্শন করেছে। বিদেশি সাংবাদিকদের সঙ্গে টিমের সঙ্গে ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক তৌফিক হাসান। আগত সাংবাদিকদের স্বাগত জানান বেক্সিমকোর পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ নাভেদ হোসেন। সাংবাদিকরা বেক্সিমকোর ভার্টিকাল লিডস গ্রিন সার্টিফাইড ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের সমস্ত ইউনিট পরিদর্শন করেন। দলে ছিলেন আলজেরিয়ার সাংবাদিক নুরদ্দীন খেট্টাল, বোলাহলিবসামিয়া, বাহরাইনের সাংবাদিক মোহাম্মদ ইয়োসিফ, মোহাম্মদ আল রোমাইলি, বুলগেরিয়ান সাংবাদিক জর্জি তোশেভ, কম্বোডিয়ান সাংবাদিক এসআইভি লিম অ্যান, হংকংয়ের সাংবাদিক ইয়াং হ্যান, ওমানি সাংবাদিক জাসিম মোহাম্মদ আলী আল বাদ্দাই, পোলিশ সাংবাদিক কামিলা জুনিক, পর্তুগিজ সাংবাদিক আনভেসনিও, পর্তুগিজ সাংবাদিক নেভিসিয়া। বেক্সিমকোর গবেষণা, উন্নয়ন ও উদ্ভাবন দেখে তারা অভিভূত হন এবং আগ্রহ প্রকাশ করেন আরও জানবার। সেন্টার অব এক্সেলেন্স ইন্টারটেক ল্যাব, সাইক্লিং ওয়াটার, এক ছাদের নিচে বিশ্বের বৃহত্তম টেকসই ওয়াশিং প্ল্যান্ট এবং বেক্সিমকোর স্বয়ংক্রিয় পোশাক উত্পাদন কারখানায় উন্নত প্রযুক্তির ছোঁয়া তাদের মুগ্ধ করে। সাংবাদিক দলের কেউ কেউ বলেন - বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক ‘বাংলাদেশের একটি বিস্ময়’।
ব্যবসার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো
বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি কোম্পানি বেক্সিমকো। প্রতিষ্ঠানের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান মনে করেন এই সফলাতর পেছনে কিছু নির্দিষ্ট কারন আছে। এই কারনগুলো তার প্রতিষ্ঠানের ভিত্তি তৈরি করেছে। আজও তিনি সেগুলোর তাৎপর্য অনুধাবন করেন। যে স্তম্ভগুলো ব্যবসার জন্য বেশী গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসার স্তম্ভগুলো চিন্তাভাবনা করে নির্ধারন করা উচিত। সালমান এফ রহমানের মতে ব্যবসার মূল স্তম্ভ হলো গ্রাহক, কর্মী ও লক্ষ্য। ক্রেতারাই বিক্রয় বাড়াতে সাহায্য করে। বিনিয়োগকারীরা কমবেশি, প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে সাহায্য করতে পারে। ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অন্যদিকে বিক্রেতারা ব্যবসা চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ জিনিসগুলি সরবরাহ করে রাজস্ব বৃদ্ধিতে অবদান রাখে। সালমান এফ রহমানের মতে অন্যান্য ব্যবসায়িক প্রতিযোগীরাও গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিযোগীদরে ছাড়া প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা সম্মন্ধে ধারনা পাওয়া কঠিন। প্রতিযোগীদের সাফল্য আরও ভাল করার জন্য তাগিদ দিতে থাকে। ব্যবসায় উৎকর্ষতা আরও ভাল কিছু করার ক্ষমতাকে উন্নত করে। ব্যবসায়িক শ্রেষ্ঠত্ব বিভিন্নভাবে অর্জন করা যেতে পারে। একজন ব্যবসায়ীর এই বৈশিষ্ট্যটি ধারন করা উচিত। কর্মীদেও এ বিষয়টি ধারন করা উচিত। সে কারনে একটি দক্ষ কর্মী টিম তৈরী করার সময় যোগ্য কর্মীদের বাছাই করা উচিত। স্বল্পমেয়াদী লক্ষ্যগুলি দ্রুত সন্তুষ্টি প্রদান করে এবং সেগুলো কম সময়ের মধ্যে অর্জন যায়। কিন্তু স্বল্পমেয়াদী লক্ষ্যগুলির বিপরীতে দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্যের ক্ষেত্রে দীর্ঘস্থায়ী ফলাফল পাওয়া যা। তবে সেগুলি অর্জন করতেও সময় লাগে। মনে রাখতে হবে যে সফলতা দ্রুত আসে না। তাই জটিল ও দীর্ঘস্থায়ী লক্ষ্যগুলো অর্জন করার জন্য প্রয়োজন অধিক সময় এবং ধৈর্য। কিছু ব্যবসয়িদের জন্য লাভ এবং ক্ষতির অনুপাত গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। তবে আর্থিক প্রবৃদ্ধির সামগ্রিক উন্নয়নই হলো অগ্রগতি বা উন্নতি। সালমান এফ রহমানের মতে ব্যবসার উন্নতি হলো • পণ্য/পরিষেবার মাধ্যমে ক্রেতাদের জীবনমানের উন্নয়ন। • কর্মীদের উন্নয়ন। • ব্যবসায়িক লক্ষ্য অর্জন। • নতুন লক্ষ্য স্থির করা এবং অর্জন করার তাগিদ তবে অগ্রগতির ধারণা ব্যবসা ও ব্যবসায়িভেদে আলাদা হতে পারে। সালমান এফ রহমানের মতে ব্যবসায়িদের এমন ধারনা থাকা উচিত না যে ব্যবসা কেবলমাত্র রাজস্ব আয়ের জন্যই। তাদের মনে রাখা উচিত
ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলবার জন্য প্রয়োজন মূলধন
ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলবার জন্য সবচেয়ে আগে প্রয়োজন হয় সাহস, তারপর প্রয়োজন হয় সঠিক পরিকল্পনা এবং তারপর প্রয়োজন হয় মূলধন বা পুঁজি জোগাড় করা। এই তিনটির কোন একটি না হলে ব্যবসা ঠিকভাবে গড়ে ওঠে না। দেখা গেল ব্যবসা সাহস রয়েছে পরিকল্পনা রয়েছে কিন্তু মূলধনের অভাবে ব্যবসা করা গেল না। দেখা গেল মিলিয়ন ডলার আইডিয়া এবং মিলিয়ন ডলার পরিকল্পনা নিয়োগ মূলধনের অভাবে ব্যবসা গড়ে তোলা গেল না। যে কোন ব্যবসা করতে গেলেই মূলধন লাগবে। কোন ব্যবসায় বেশি, কোন ব্যবসায় কম, তবে মূলধন লাগবেই। একজন তরুণ উদ্যোক্তার মূলধন এর প্রয়োজন, আবার একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীরও মূলধন প্রয়োজন। কারও কম কারও বেশি। মূলধন জোগাড়ের বেশ কিছু উপায় রয়েছে। সঠিকভাবে জোগাড় করা গেলে এই মূলধন ব্যবসাকে প্রতিষ্ঠ করতে সাহায্য করে। অনেক ক্ষেত্রেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করা সহজ হয়। সবচেয়ে প্রচলিত ধারণা হচ্ছে নিজে টাকা জমানো। কিছুদিন টাকা জমিয়ে টাকার পরিমান বাড়লে সেটিকে মূলধন হিসেবে ব্যবহার করা যায়। তবে এটা ধারণা করা মুশকিল ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করতে বা গড়ে তুলতে কতটুক মূলধন প্রয়োজন। সে ক্ষেত্রে টাকা জমিয়ে মূলধন জোগাড় করা কঠিন হতে পারে। তরুণ উদ্যোক্তাদের প্রথম পছন্দ টিউশনি করা অথবা পার্টটাইম চাকরি করা। তারা টিউশনি করে অথবা পার্টটাইম চাকরি করে ছাত্রজীবন থেকেই টাকা জমানো শুরু করে এবং পড়াশোনা শেষ করে সেই টাকা দিয়ে প্রথম ব্যবসা করতে নামে। আবার কেউ যদি কয়েক বছর চাকরি করার পর মনে করে ব্যবসা করবে তাহলে চাকরির টাকা দৃষ্টি থেকে কিছু টাকা প্রতিমাসে জমিয়ে জমিয়ে ব্যবসার মূলধন গড়ে তোলা যায়। আরেকটি প্রচলিত উপায় হল পরিবারের লোকজনের কাছ থেকে মূলধন জোগাড় করা পরিবারের লোকজন যদি সাপোটিভ হয় এবং তাদেরকে যদি ব্যবসার পরিকল্পনা ঠিক ভাবে বোঝানো যায় তাহলে অধিকাংশ সময়ই তারা রাজি হয় সেই ব্যবসাতে মূলধনের জোগান দেয়াতে। হতে পারে বাবা, হতে পারে মা, হতে পারে চাচা, হতে পারে মামা, আবার হতে পারে ভাই বোন। মোহাম্মদী গ্রুপের
বিনিয়োগকারীদের চোখে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সাফল্য
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সাফল্য চোখে পড়ার মতন। বিশ্বের নানা প্রান্তের নানা বিনিয়োগকারীদের চোখে এই সাফল্য ধরা পড়েছেও। তারা এখন আগ্রহী বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে। বিভিন্ন দেশের বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ আসছে। এটা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকারের বিনিয়োগবান্ধব নীতির কারণে। বাংলাদেশ বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ আসার পেছনে যার অবদান সবচেয়ে বেশি তিনি সালমান এফ রহমান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য, শিল্পপতি এবং সমাজসেবক হিসেবে সালমান এফ রহমানের সামনের সুযোগ ছিল দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখার। বরাবরের মতন তার সেরাটি ঢেলে দিয়েছেন এবং নিশ্চিত করেছেন করণা মহামারীর সত্বেও বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ আসে। ভৌগলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য একটি ভালো ডেস্টিনেশন। এই ব্যাপারটি সালমান এফ রহমান বিদেশী বিনিয়োগকারীদের বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন। আগামী কিছু বছরের মধ্যে সারাদেশে ১০০ টির উপর বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করা হবে। এই ব্যাপারটি ও বৈদেশিক বিনিয়োগ কারীদের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। তৈরি পোশাক প্লাস্টিক চামড়া জাতীয় পণ্য আইসিটি এবং কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ খাতগুলোতে বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে এবং ইউরোপ আমেরিকা এবং মিডলইস্টের বিভিন্ন বিনিয়োগকারীরা এসব খাতে বিনিয়োগ করার আগ্রহ দেখিয়েছেন। বৈদেশিক বিনিয়োগকারীদের সাথে সালমান এফ রহমান আলোচনা করেছে এবং তাদেরকে জানিয়েছেন বাংলাদেশ আর আগের মতন নেই , প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাংলাদেশ সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি বাংলাদেশ। এই বাংলাদেশে বিনিয়োগের সব ধরনের সুযোগ নিশ্চিত করা হয়েছে এবং দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন নিশ্চিত করা হয়েছে। দেশের ভেতরের শিল্প কৃষি এবং সেবা খাত এগিয়ে যাচ্ছে তীব্র গতিতে। যা সার্বিক বিনিয়োগের জন্য মঙ্গল কর।
পাল্টে যাচ্ছে দোহার-নবাবগঞ্জ
দ্রুত গতীতে পাল্টে যাচ্ছে দোহার-নবাবগঞ্জ। ঢাকা-১ (দোহার-নবাবগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য সালমান এফ রহমানের দূরদর্শিতায় সম্ভব হচ্ছে এই পাল্টে যাওয়া। তার নেয়া পদক্ষেপগুলো ও প্রস্তাবিত প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হচ্ছে একে একে। ফল পেতে শুরু করেছে সাধারন মানুষ। সালমান এফ রহমানের নেয়া পদক্ষেপ গুলোর মধ্যে যেসব বর্তমানে বাস্তবায়নের দ্বার প্রান্তে রয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য গুলো হল দোহার-নবাবগঞ্জ এলাকার জনসাধারণের অর্থনৈতিক মুক্তি এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি লক্ষ্যে দৌলতপুর অর্থনৈতিক শিল্প এলাকা প্রতিষ্ঠা, নবাবগঞ্জ উপজেলা সরকারি হাসপাতালটিকে ১০০শয্যায় উন্নত করা, বসিলা বাইপাস সড়ক নির্মাণ, নবাবগঞ্জ উপজেলায় একটি আধুনিক নার্সিং ইনস্টিটিউট স্থাপন, শেখ রাসেল আইটি পার্ক প্রতিষ্ঠা, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মহিলা প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট স্থাপন, এবং এলাকার খামারিদের দুধের ন্যায্য দাম নিশ্চিত করতে মিল্কভিটা প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র স্থাপন। সালমান এফ রহমানের অনেক দিনের স্বপ্ন দোহার-নবাবগঞ্জকে মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলবেন। সেই লক্ষে কাজ এগিয়ে নিচ্ছেন তিনি। ঢাকা ১ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবার পরেই দোহারের সাধারন জনগনের সুস্বাস্থ্য এবং স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সালমান এফ রহমান এলাকায় ২৪০ টি আর্সেনিক মুক্ত টিউবওয়েল স্থাপন করেন। নির্বাচিত হবার আগ থেকেই দোহার এবং নবাবগঞ্জের বিভিন্নস্থানে তিনি স্কুল মসজিদ এবং মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেছেন। সারা দেশ থেকে যে চৌদ্দটি উপজেলাকে নগরায়ন এবং আধুনিকায়নের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্যোগ নিয়েছেন সেই তালিকায় সালমান এফ রহমান দোহার-নবাবগঞ্জকে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। তার অন্যান্য পদক্ষেপ গুলোর মধ্যে রয়েছে দোহার-নবাবগঞ্জকে একটি শান্তির জনপদ হিসেবে গড়ে তোলার এবং এখানে একটি স্যাটেলাইট সিটি নির্মাণ।