বরেণ্য ও বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব
-
সালমান এফ রহমানঃ বেক্সিমকো গ্রুপের বাইরে তার সাফল্য কি?
2024-03-16 View 620সালমান এফ রহমানের জন্ম এক রাজনৈতিক পরিবারে। তার পিতা ফজলুর রহমান ভারতের ব্রিটিশ শাসনামলে বাংলার রাজস্ব মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পাকিস্তান সৃষ্টির পর ফজলুর রহমান পাকিস্তানের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬০ দশকের মাঝামাঝি তিনি পারিবারিক ব্যবসায় যোগ দেন। স্বাধীনতার পর তিনি তার বড়ভাই আহমেদ সোহেল রহমানের সাথে বাংলাদেশ এক্সপোর্ট অ্যান্ড ইমপোর্ট কোম্পানি লিমিটেড (বেক্সিমকো গ্রুপ) প্রতিষ্ঠা করেন। প্রথমে তারা ইউরোপে সামুদ্রিক খাবার এবং চূর্ণ হাড় রপ্তানি শুরু করেন এবং বিনিময় মুদ্রা দিয়ে দেশের জন্য ওষুধ আমদানি শুরু করেন। ব্যাবসা বাড়তে থাকলে তারা টেক্সটাইল,সিরামিকস, ট্রেডিং, সামুদ্রিক খাদ্য, রিয়েল এস্টেট ডেভেলপমেন্ট, নির্মাণ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, পাওয়ার ও মিডিয়া সেক্টরে প্রবেশ করেন। তাদের বেশীরভাগ প্রোজেক্ট সফল হয়। একসময় তারা লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জের বিকল্প বিনিয়োগ বাজারে বেক্সিমকো ফার্মাকে তালিকাভুক্ত করেন। বেক্সিমকো ফার্মা প্রথম বাংলাদেশি কোম্পানি হিসেবে লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হয়। প্রতিষ্ঠানটিতে এখন ৭০,০০০ মানুষ কাজ করে। সালমান এফ রহমান শুধু বেক্সিমকো গ্রুপের প্রবৃদ্ধি ও সম্প্রসারণই নিশ্চিত করেই ক্ষান্ত হননি। বাংলাদেশের ব্যবসায়িক খাতের গতিশীলতাও পরিবর্তন করতে চেয়েছেন। এবং পেরেছেন। প্রকৃত থিঙ্কট্যাঙ্ক বলতে যা বুঝায় তিনি তাই। অতীতে তিনি সার্ক চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। এইদুই অ্যাসোসিয়েশন ছাড়াও তিনি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই), মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি অব ঢাকা (এমসিসিআই), বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ) এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজের সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৯০ দশকের মাঝামাঝি সময়ে সালমান এফ রহমান তার রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ আন্দোলন নামে একটি রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন। পরে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগ দেন। ২০১৪ সালে তিনি ঢাকা-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সেই বছরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে বেসরকারি খাতের শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব দেন। দায়িত্ব পাবার পর থেকে দেশের
সালমান এফ রহমান- মননশীলতার এক উজ্জ্বল উদাহরণ
সালমান এফ রহমান বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের মধ্যে একজন। তিনি এক অভিজাত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা পাকিস্তানী শাসন আমলে একাধিক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। সালমান এফ রহমান বাংলাদেশের নেতৃস্থানীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা। অতীতে তিনি বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস এবং আই এফ আই সি ব্যাংকের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও আরও পূর্বে তিনি সাইনপুকুর হোল্ডিং লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত হন। এখানে লক্ষণীয় একটি বিষয় হল এসকল কোম্পানির প্রত্যেকটিই নিজেদের জায়গা থেকে শীর্ষস্থানে রয়েছে। ঢাকা-১ আসন থেকে ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হয়ে তিনি দেশের কল্যাণে কাজ করছেন। এর সাথেসাথে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এবারও তিনি একই আসন থেকে নির্বাচন করবেন। বেক্সিমকো গ্রুপকে আজকের এই অবস্থানে দাড় করাতে সালমান এফ রহমানকে অক্লান্ত পরিশ্রম করতে হয়েছে। তাঁর প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় বেক্সিমকো গ্রুপ আজ ব্যবসার বিভিন্ন শাখায় সফলভাবে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। বেক্সিমকো গ্রুপ এখন সিরামিক, ওষুধ উৎপাদন, আবাসন প্রকল্প এবং বিনোদন জগতে কাজ করছে। এছাড়াও বস্ত্রশিল্প, বিভিন্ন অর্থসংস্থান, নির্মাণ, জ্বালানী, পাট শিল্প, বিমান এবং সেরামিক শিল্পেও কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের ব্যবসায়িক খাতে উন্নয়নেও তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তিনি মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন, সার্ক চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি, বাংলাদেশ শিল্পসমিতি এবং ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সামাজিক উন্নয়নেও সালমান এফ রহমান কাজ করে যাচ্ছেন। বিভিন্ন দারিদ্র বিমোচন কর্মকাণ্ডের সাথে তিনি সক্রিয় ভাবে জরিত আছেন। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন মানবাধিকার রক্ষা সংস্থার সদস্য ছিলেন। দেশের ক্রীড়া উন্নয়নেও তাঁর যথেষ্ট অবদান রয়েছে। তিনি বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান ক্রীড়া সংস্থা ‘আবাহনী ক্রীড়াচক্রের’ চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োজিত আছেন। তাঁর এই সকল গুণাবলী তাকে বাংলাদেশের সকল উদ্যোক্তাদের মাঝে আলাদা মর্যাদায় রেখেছে।
মাশরাফি-বিন-মুর্তজা
মাত্র ১৭ বছর বয়সে আবির্ভাবেই চমকে দিয়েছিলেন সবাইকে। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের মরা উইকেটেও গতিতে ব্যাটসম্যানদের নাভিশ্বাস তুলছেন। আর ব্যাট হাতে নামলেই বোলারদের তুলে তুলে মেরেছেন। ২০০০ সালে বাংলাদেশের ক্রিকেটে এমন কারো আবির্ভাব সাড়া ফেলে দেওয়ার মতো ঘটনাই। সাড়া দেশে ছড়িয়ে পড়ল নামটা, কৌশিক। পুরো নাম মাশরাফি-বিন-মুর্তজা। তিনি ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’ হিসেবে পরিচিত। ম্যাকগ্রার বা চামিন্ডা ভাসের মতো শত শত উইকেট নেই তার। পাকিস্তানের শোয়েব আখতারের মতো গতিদানবও ছিলেন না তিনি । পরিসংখ্যান, স্পিড গানের হিসাব দিয়ে তাকে চেনা যাবে না বা তুলনাও করা যাবে না। তিনি নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম সেরা ফাস্ট বোলার, সেরা ক্রিকেটার ও সেরা দলনায়ক। তিনিই দেশের প্রথম গতিতারকা। তিনি বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক। মাশরাফি-বিন-মুর্তজা তরুন ক্রিকেটারদের সবচেয়ে বড় প্রেরণার নাম। বাংলাদেশে যেকোন চলচিত্র বা নাটক বা অন্য কোন তারকার চেয়ে তিনি সবচেয় বড় তারকা। সাধারন মানুষ থেকে শুরু করে, তরুন, রাজনীতিবিদ পযর্ন্ত আছে তার ভক্তের তালিকায়। দক্ষিণ-পশ্চিমের জেলা নড়াইলে ১৯৮৩ সালের ৫-ই অক্টোবর মাশরাফি পিতা গোলাম মুর্তজা ও মাতা হামিদা মুর্তজার ঘরে জন্ম গ্রহন করেন। ছোটবেলাতে বাঁধাধরা পড়াশোনার পরিবর্তে খেলাধুলার প্রতি প্রচন্ড আগ্রহ ছিল। আর মাঝে মধ্যে চিত্রা নদীতে সাঁতার কাটাতেন। ২০০৩/০৪ শিক্ষা বর্ষে জাহাঙ্গিরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শন বিভাগে ভর্তি হন। তরুণ বয়সে ক্রিকেটের প্রতি তার আগ্রহ জন্মায় । ব্যাটিংয়ে পারদর্শি ছিলেন যদিও এখন বোলার হিসেবেই তিনি খ্যাত। নিজের গুণেই হয়ে উঠলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটের প্রতীক। বোলার মাশরাফি হিসেবে যতটা না জনপ্রিয় তার চেয়ে বেশী জনপ্রিয় তার অসাধারন নেতৃত্বগুণের জন্য। দেশকে সবচেয়ে বেশি ওয়ানডে ম্যাচ জেতানো অধিনায়ক এখন তিনি। একটা সময় অনেক আন্তর্জাতিক মানের স্পিনার থাকলেও বাংলাদেশে কোন ভাল ফাস্ট বোলার ছিল না। মাশরাফি সেই শূন্যস্থান পূরণ করেন। গতিময় আর আক্রমণাত্মক বোলিং দিয়ে মাশরাফি ওয়েস্ট ইন্ডিজ সাবেক ফাস্ট বোলার অ্যান্ডি রবার্টসের নজর কাড়েন। ২০০১ সালে কোন প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট না খেলেই টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অভিষেক হয়। সেই অভিষেকেই ১০৬ রানে ৪টি
স্বাপ্নিক দূরদৃষ্টি, অদম্য একাগ্রতা ও গতিশীলতা নিয়ে স্যার ফজলে হাসান আবেদ
স্বাপ্নিক দূরদৃষ্টি, অদম্য একাগ্রতা ও গতিশীলতাধারন করে কোটি দরিদ্র মানুষের কষ্ট লাঘবে অক্লান্তভাবে কাজ করেছেন স্যার ফজলে হাসান আবেদ। তিনি বিশ্বের সবচেয়ে বড় এনজিও ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা। ১৯৭০ সালে ভয়াবহ ঘূর্ণীঝড়ে আক্রান্ত মানুষের দুর্দশা দেখে কিছু করার প্রয়াসে ত্রানকাজে ফজলে হাসান আবেদ নিজেকে নিয়োজিত করেন। এরপর ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় হাজার শরনার্থীদের সাহায্য করার জন্য তিনি লন্ডনে তার বাড়ি বিক্রি করে দিয়ে দেশে আসেন সেইসব বিপন্ন মানুষের মধ্যে ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রমের পরিচালনা করার জন্য। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি ১৯৭২ সালে ব্র্যাক প্রতিষ্ঠা করেন। স্যার ফজলে হাসান আবেদ ১৯৩৬ সালের এপ্রিল মাসে হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা সিদ্দিক হাসান একজন জমিদার ছিলেন এবং পরিবারের সবাই ছিলেন শিক্ষিত। তার বাবা অসুস্থ্য হয়ে গেলে তিনি চাচার কর্মস্থল কুমিল্লায় জেলা স্কুলে ভর্তি হন। পরবর্তিতে তার চাচা বদলি হন পাবনায় এবং পাবনা জেলা স্কুল থেকে ১৯৫২ সালে ম্যাট্রিক পাশ করেন। ঢাকা কলেজ থেকে ১৯৫৪ সালে এইচএসসি পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থ বিভাগে সম্মানে ভর্তি হন ফজলে হাসান আবেদ। ১৯৫৬ সালের স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো ইউনিভার্সিটিতে নেভাল আর্কিটেকচারে ভর্তি হন। কিন্তু তিনি দেখলেন যে পূর্ব পাকিস্তানে জাহাজ শিল্পে কাজ করার কোন সুযোগ নেই। তাই তিনি কোর্স অসমাপ্ত রেখে ১৯৫৬ সালে লন্ডন চলে যান এবং সেখানে ভর্তি হন অ্যাকাউন্টিংয়ে। সেখানে কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টিংয়ে প্রফেশনাল কোর্স সম্পন্ন করেন ১৯৬২ সালে। এর পর তিনি দেশে ফিরে এসে শেল অয়েল কোম্পানিতে ফাইনান্স বিভাগে চাকরীতে যোগ দেন। ১৯৭০ সালে দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব উপকুলে ভয়াবহ ঘুর্ণীঝড় আঘাত আনে যাতে প্রায় তিন লক্ষ মানুষ মারা যায় এবং বহু ক্ষয়-ক্ষতি হয়। হাজার হাজার বিপন্ন মানুষের কষ্ট স্যার ফজলে হাসান আবেদের জীবনদর্শনে গভীর প্রভাব ফেলে। সে সময় তিনি তার বন্ধুদের নিয়ে মনপুরায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থদের ত্রান ও পুনর্বাসন করা লক্ষ্য নিয়ে HELP নামে একটি সংগঠন তৈরী করেন। কিন্তু ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি দেশ ছেড়ে ইংল্যান্ডে আশ্রয় নিতে বাধ্য
সাফল্যের ফর্মুলা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন সোহেল এফ রহমান
সোহেল এফ রহমানের হাতে রয়েছে সাফল্যের ফর্মুলা। যেসব উদ্যোগ তিনি হাতে নিয়েছেন, তার সকল সাফল্যের সাথে বাস্তবায়ন করেছেন। তিনি একাধারে একজন উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী, সমাজসেবী এবং নীতি-নির্ধারক। দেশের জন্য এবং দেশের মানুষের জন্য অদম্য চেষ্টায় শক্তি দিয়ে সামনের দিকে সর্বদা সামনে হেঁটেছেন এই মানুষ। সোহেল এফ রহমান বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে অন্যতম। বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যিক পরিমণ্ডল, সামগ্রিক অর্থনীতি, বেসরকারি খাতের উন্নয়ন যেসব দূরদর্শী এবং নিষ্ঠাবান ব্যবসায়ীদের হাত ধরে এসেছে, সোহেল এফ রহমান তাদের একজন। ছোট ভাই সালমান এফ রহমান কে সাথে নিয়ে সোহেল এফ রহমান গড়ে তুলেছেন বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো গ্রুপ। দেশের মানচিত্র ছাড়িয়ে বেক্সিমকো গ্রুপ এখন পরিচিত আন্তর্জাতিক মহলে। সারা বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির সাফল্যের চিহ্ন। বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য উন্নয়ন এবং শিল্প উন্নয়নে বেক্সিমকো গ্রুপকে বলা হয়ে থাকে পথপ্রদর্শক। বেক্সিমকো গ্রুপ যা আজকে করে, অন্য প্রতিষ্ঠান সেটা আগামী পরশু করবে। সোহেল এফ রহমানের বেক্সিমকো গ্রুপ এগিয়ে চলেছে দুর্বার গতিতে। এই বছরই পুঁজিবাজারকে অধিক গতি এনে দেবার লক্ষ্যে অর্থ সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। পুঁজিবাজারে ছেড়েছে সুসুক বন্ড। ঔষধ শিল্প থেকে সিরামিক, আইটি থেকে টেলি কমিউনিকেশনস, প্রতিটি সেক্টরে বেক্সিমকো গ্রুপ সফলতার সাথে বিচরণ করছে এবং প্রতিমুহূর্তে নতুন নতুন প্রোডাক্ট ও সার্ভিস উপহার দিচ্ছে। তথ্য উপাত্তঃ নিভৃতচারী ব্যবসায়ী সোহেল এফ রহমান একই রকম অবদান সোহেল এফ রহমান রেখেছেন বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতেও। ১৯৭৬ সালে তিনি উদ্যোগ নেন বেসরকারি ব্যাংক স্থাপনের। প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারি ব্যাংক আই এফ আই সি। এরপর ১৯৮১ সালে প্রতিষ্ঠা করেন আর একটি বেসরকারি ব্যাংক - আরব বাংলাদেশ ব্যাংক। তথ্য উপাত্তঃ বাংলাদেশ অর্থনৈতিক পরাশক্তি হিসাবে আত্মপ্রকাশ করছে সোহেল এফ রহমান তার প্রজ্ঞা এবং দূরদর্শিতা দিয়ে শুধু বেক্সিমকো গ্রুপকে প্রতিষ্ঠা করেননি, পাশাপাশি দেশের সার্বিক ব্যবসা-বাণিজ্যকে অগ্রগতির হাইওয়েতে আনবার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন এবং সফল হয়েছেন। যার ফলে দেশের মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন হয়েছে। ভেবেছেন দারিদ্র বিমোচন এবং মানবাধিকার নিয়েও। নিয়েছেন নানা পদক্ষেপ।
সফল ব্যবসায়ী হতে হলে কি কি গুণ থাকা প্রয়োজন?
সফল ব্যবসায়ীদের কিছু একটা থাকে যা অন্য সবার থাকে না। কেউ কেউ বলেন এক্স ফ্যাক্টর। তা হতে পারে। তবে সফল ব্যবসায়ী হতে হলে কিছু কিছু গুণ থাকতেই হয়। যেমন ব্যবসার সঠিক জ্ঞান। সঠিক এবং পর্যাপ্ত জ্ঞান ছাড়া কোন ব্যবসায় সফল হতে পারেননি এখন পর্যন্ত। পর্যাপ্ত জ্ঞান থাকার ফলে অবস্থা বিশ্লেষণ করে তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং সফল হয়েছেন। অন্য একটি গুণ সফল ব্যবসায়ীদের মধ্যে বিরাজ করে, সেটা হল সময়ে জ্ঞান। সময় সম্পর্কে যেসব ব্যবসায়ী সঠিক জ্ঞান রাখতে পারেন, তাদের সফল হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। সময়ের সদ্ব্যবহার না করলে ব্যবসা একসময় মুখ থুবড়ে পড়ে। দূরদর্শিতা এমন একটি গুণ যা অন্য সবার থেকে সফল ব্যবসায়ীদের এগিয়ে রাখে। ভবিষ্যতের ব্যবসার ধরন কি হবে, দেশ এবং পৃথিবীর অর্থনীতি কোন গতিতে চলবে, কোন ধরনের ব্যবসা ভবিষ্যতে সফলতা বয়ে আনবে, সেইসব সফল ব্যবসায়ীরা তাদের দূরদর্শিতা ফলস্বরূপ বুঝে ফেলেন এবং সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেন। সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতা ও একটি প্রয়োজনীয় গুন। কথায় বলে সময় গেলে হয়না সাধন। সাহসের সাথে এবং দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতার উপর অনেক ব্যবসা সফলতা এবং বিফলতা নির্ভর করে। নিতে হয় সঠিক সময়ে ঠিক সিদ্ধান্ত। এছাড়া ব্যক্তিগত গুণাবলী এবং নির্ভরযোগ্যতা অর্জনের ক্ষমতা ও সফল ব্যবসায়ীদের গুণের মধ্যে পড়ে।
জহিরুল ইসলাম
প্রায় সময়ই শুনা যায় যে - সফলতা তার রক্তের সাথে মিশে আছে। কিন্তু এই ধরনের গুন খুবই দুর্লভ, অর্থাৎ এ সচরাচর দেখা যায় না। এরকম দুর্লভ একজন মানুষ হলেন জহিরুল ইসলাম যার রক্তের সাথে সফলতা মিশে আছে। জহিরুল ইসলাম একটি ব্যবসায়িক পরিবারে জন্মগ্রহণ করে ছিলেন এবং খুব অল্প বয়সেই ব্যবসাকে তিনি তার পেশা হিসেবে ঠিক করে ফেলেন। ১৯৬৪ সালে তিনি ‘ইসলাম গ্রুপ’-এর প্রতিষ্ঠা করেন। সেই থেকেই তিনি তাঁর অটল লক্ষ্য ও তীক্ষ্ণ নেতৃত্ব দিয়ে ব্যবসাবাণিজ্যের স্বর্ণশিখরে পৌঁছেছেন। ইচ্ছাশক্তি ও পরিশ্রম দ্বারা তিনি খুবই গৌরবময় জীবন পার করেন। তাঁর কীর্তিতে বাংলাদেশের ব্যাবসায়িক প্রেক্ষাপট অনেকটাই পালটে গিয়েছে এবং যার ফলে তাকে বাংলাদেশের ব্যাবসা-বাণিজ্যের পিতা বলা হয়। বিভিন্ন ধরনের কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠান নিয়ে ‘ইসলাম গ্রুপ’ গঠিত। এদের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন মার্কেটিং কোম্পানি, নির্মাণ ব্যবসা, রিয়েল ষ্টেট, বৈদেশিক আমদানি-রপ্তানি এবং এছাড়াও বিভিন্ন অর্থনৈতিক লেনদেন সংক্রান্ত ব্যবসা। জহিরুল ইসলামের সফলতার পিছনে প্রধান যে বিষয়টি কাজ করেছে সেটি হল তাঁর ব্যবসা এবং ব্যবসায়িক পরিবেশ সম্পর্কে অবগত হওয়া যে, এসব আসলে কিভাবে কাজ করে এবং কিভাবে উন্নতির পথে এগিয়ে যেতে হয়। তাঁর অধীনে যারা চাকরী করতো, তাদের সকলের ব্যাপারেই তিনি অনেক যত্নশীল ছিলেন। পাশাপাশি ‘ইসলাম গ্রুপ’-এর অধীনে যেসকল প্রতিষ্ঠান ছিল, সেগুলোর ব্যাপারেও অনেক খেয়াল রাখতেন। একারনেই অনেক মানুষই সেখানে চাকরী করে খুবই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন। জহিরুল ইসলাম শুধুমাত্র ব্যবসায়িক ক্ষেত্রেই সফল ছিলেন না, তাঁর অধীনে চাকরিরত মানুষদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা প্রদানেও তিনি ছিলেন পথপ্রদর্শক। এসকল সুযোগসুবিধাগুলো হল- চিকিৎসা সুবিধা, চাকরী ভাতা, দুর্ঘটনা ভর্তুকি এবং চাকরিরত অবস্থায় প্রশিক্ষণ গ্রহণের বিশেষ সুবিধা। কাজ করার জন্য একটা উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করার মাধ্যমে ‘ইসলাম গ্রুপ’ মূল সফলতা পেয়েছে। কারন এর মাধ্যমে এই গ্রুপে যারা চাকরী করতো তাঁরা বুঝতে পারে যে, তাঁরা কোম্পানির কাছে শুধুমাত্র কাজ করার কোন যন্ত্র বিশেষ না। এটিই ছিল জহিরুল ইসলামের সফলতার পিছনে অন্যতম প্রধান মূলমন্ত্র। জহিরুল ইসলাম অনুধাবন করেন যে, ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে সফলতার পাশাপাশিও