বাংলাদেশের যোগ্য ও দক্ষ নেতা

News Editor 2023-09-21 জাতীয় View 554

দ্রুত পরিবর্তনশীল এই বিশ্বে আমরা যতই এগিয়ে যাচ্ছি, স্মার্ট দেশ গড়ার ক্ষেত্রে দক্ষ নেতাদের ভূমিকা ততই বাড়ছে। "স্মার্ট " শব্দটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনী সক্ষমতার সাথে যুক্ত যা একটি দেশের নাগরিকদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করে। উন্নত রাষ্ট্রের একটি মৌলিক বিষয় হলো যে যোগ্য নেতারাই একটি জাতিকে স্মার্ট জাতি হিসেবে গড়ে তোলার প্রধান চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করে।


আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের,আইন মন্ত্রী আনিসুল হক, প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ‍ পলক ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বর্তমানে সবচেয়ে দক্ষ ও স্মার্ট নেতা হিসেবে বিবেচিত। তারা কাজের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি  স্মার্ট জাতি হিসেবে গড়ে তোলার চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করছেন।  তবে বাংলাদেশের প্রয়োজন আরও বেশী বেশী দক্ষ, স্মার্ট ও যোগ্য নেতা।  


একটি দেশ, বিশেষে করে বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশকে স্মার্ট দেশে রুপান্তুর করা মানে শুধু অত্যাধুনিক প্রযুক্তি থাকা বা নিশ্চিত করা নয়; বরং উন্নত প্রযুক্তি দেশটির নাগরিকদের উন্নতির সাথে সম্পর্কযুক্ত করতে পারা। একটি স্মার্ট দেশ দক্ষ শাসন, টেকসই উন্নয়ন, উন্নত জনসেবা এবং উন্নত জীবনযাত্রাকে বোঝায়। আর এই উন্নতি অর্জনের জন্য এমন নেতাদের প্রয়োজন যারা আধুনিক সমাজের চাহিদা বুঝে এবং সেই চাহিদা পুরনে চ্যালেঞ্জগুলো নিরসন করার দক্ষতা, দৃষ্টিভঙ্গি এবং সংকল্পের অধিকারী হয়। দক্ষ নেতাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ গুণ হলো জাতির ভবিষ্যত সম্পর্কে তাদের সুস্পষ্ট ধারনা থাকে। তারা দেশের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনের সম্ভাবনাগুলো বুঝতে পারে। দক্ষ নেতাদের সামাজিক উন্নয়নের জন্য একটি সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি থাকে। তারা শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, অবকাঠামো এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সম্পর্কে র্দূরদর্শী। পাশাপাশি তারা সহজেই পরিবর্নশীল প্রযুক্তি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের সাথে নিজেদেরে খুব সহজেই খাপ খাওয়াতে পারেন। দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বে দক্ষ নেতারা  নতুন প্রযুক্তি এবং ধারণাগুলি গ্রহন করতে এবং মানিয়ে নিতে আগ্রহী হয়। তারা উদ্ভাবনের সংস্কৃতিকে উৎসাহিত করে এবং পরিবর্তনকে অনিশ্চয়তার পরিবর্তে সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেন। এই নমনীয়তা দক্ষ ও স্মার্ট নেতাদের গ্রহনযোগ্যতা সাধারন মানুষের মাঝে বৃদ্ধি করে।  

একটি স্মার্ট দেশ গড়ার যাত্রায় যোগ্য ও দক্ষ নেতাদের ভূমিকা সবথেকে বেশি। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের,আইন মন্ত্রী আনিসুল হক, প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ‍ পলক ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বর্তমানে সবচেয়ে দক্ষ ও স্মার্ট নেতা হিসেবে বিবেচিত। তারা কাজের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি  স্মার্ট জাতি হিসেবে গড়ে তোলার চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করছেন।  তবে বাংলাদেশের প্রয়োজন আরও বেশী বেশী দক্ষ, স্মার্ট ও যোগ্য নেতা।  



স্বচ্ছ শাসন আধুনিক উন্নত রাষ্ট্রের অন্যতম বৈশিষ্ট আর স্বচ্ছ শাসন নিশ্চিত করতে দক্ষ নেতারা সুশাসনকে অগ্রাধিকার দেন, যার মধ্যে রয়েছে জবাবদিহিতা, আইনের শাসন এবং কার্যকর জনপ্রশাসন। তারা  সরকারী প্রক্রিয়াগুলিকে সুসংগঠিত করতে, আমলাতন্ত্র কমাতে এবং দুর্নীতি দূর করতে প্রযুক্তি ব্যবহারে আগ্রহী হয়। এইসব চিন্তাভাবনা ও কার্যক্রম নাগরিকদের আস্থা বাড়ায় এবং দেশে বিনিয়োগও আকৃষ্ট করে। এছাড়া একটি স্মার্ট দেশ গড়ার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নে বিনিয়োগ করা। দক্ষ নেতারা একটি সুশিক্ষিত কর্মশক্তির গুরুত্ব অনুধাবন করতে পারেন এবং সর্বস্তরে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য চেষ্টা করনে। তারা শিক্ষায় উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করে এবং নাগরিকদের ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত করতে অগ্রনী ভূমিকা পালন করে থাকেন।


একটি স্মার্ট দেশ গড়ার জন্য একটি শক্তিশালী ডিজিটাল অবকাঠামো প্রয়োজন। দক্ষ ও যোগ্য নেতারা উচ্চ-গতির ইন্টারনেট, ডিজিটাল পরিষেবা এবং সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেন। তারা বোঝেন যে একটি আধুনিক সমাজ দেশের সামগ্রিক অগ্রগতিতে অবদান রাখে। আবার শুধুমাত্র প্রযুক্তিগত অগ্রগতিই মানে একটি স্মার্ট দেশ নয় বরং সেই প্রযুক্তির স্থায়িত্বের বিষয়টিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।  দক্ষ নেতারা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। যোগ্য নেতারা এমন একটি সমাজ তৈরি করতে কাজ করেন যা সব নাগরিককে সমানভাবে উপকৃত করে। তারা সামাজিক বৈষম্য দুরীকরন, প্রযুক্তিগত অগ্রগতি ও তথ্যের অধিকার নিশ্চিতে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনাকে অগ্রাধিকার দেন।


আসলে একটি স্মার্ট দেশ গড়ার যাত্রায় যোগ্য ও দক্ষ নেতাদের ভূমিকা সবথেকে বেশি। দূরদৃষ্টি, অভিযোজনযোগ্যতা এবং সুশাসন নিশ্চিতকরনে দক্ষ নেতারা একটি জাতিকে স্মার্ট দেশে রূপান্তরের প্রধান চালিকা শক্তি। তারা নাগরিকদের শিক্ষা, ডিজিটাল অবকাঠামো প্রযুক্তির সুবিধা নিশ্চিত করে দেশের মানুষকে উন্নত জীবন উপভোগ করার সুযোগ তৈরী করে দেয়। বর্তমানে বাংলাদেশে সরকারী ও বিরোধীদলগুলো সবাই এই বিষয়গুলোকে অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করে থাকেন। আগামী নির্বাচনে নিজ নিজ দলের প্রার্থীদের মধ্যে এই গুণাবলি প্রাধান্য পাবে বলে আশা করা যায়। প্রায় সব রাজনৈতিক দলগু ভবিষ্যত নেতৃত্বের জন্য একজন স্মার্ট,দক্ষ ও যোগ্য নেতা চাইবে এটাই স্বাভাবিক।

সাম্প্রতিক