ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলবার জন্য প্রয়োজন মূলধন

News Editor 2022-04-27 জাতীয় View 1021

ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলবার জন্য সবচেয়ে আগে প্রয়োজন হয় সাহস, তারপর প্রয়োজন হয় সঠিক পরিকল্পনা এবং তারপর প্রয়োজন হয় মূলধন বা পুঁজি জোগাড় করা। এই তিনটির কোন একটি না হলে ব্যবসা ঠিকভাবে গড়ে ওঠে না। দেখা গেল ব্যবসা সাহস রয়েছে পরিকল্পনা রয়েছে কিন্তু মূলধনের অভাবে ব্যবসা করা গেল না। দেখা গেল মিলিয়ন ডলার আইডিয়া এবং মিলিয়ন ডলার পরিকল্পনা নিয়োগ মূলধনের অভাবে ব্যবসা গড়ে তোলা গেল না। 


যে কোন ব্যবসা করতে গেলেই মূলধন লাগবে। কোন ব্যবসায় বেশি, কোন ব্যবসায় কম, তবে মূলধন লাগবেই। একজন তরুণ উদ্যোক্তার মূলধন এর প্রয়োজন, আবার একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীরও মূলধন প্রয়োজন। কারও কম কারও বেশি। মূলধন জোগাড়ের বেশ কিছু উপায় রয়েছে। সঠিকভাবে জোগাড় করা গেলে এই মূলধন ব্যবসাকে প্রতিষ্ঠ করতে সাহায্য করে। অনেক ক্ষেত্রেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করা সহজ হয়।  


সবচেয়ে প্রচলিত ধারণা হচ্ছে নিজে টাকা জমানো। কিছুদিন টাকা জমিয়ে টাকার পরিমান বাড়লে সেটিকে মূলধন হিসেবে ব্যবহার করা যায়। তবে এটা ধারণা করা মুশকিল ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করতে বা গড়ে তুলতে কতটুক মূলধন প্রয়োজন। সে ক্ষেত্রে টাকা জমিয়ে মূলধন জোগাড় করা কঠিন হতে পারে। তরুণ উদ্যোক্তাদের প্রথম পছন্দ টিউশনি করা অথবা পার্টটাইম চাকরি করা। তারা টিউশনি করে অথবা পার্টটাইম চাকরি করে ছাত্রজীবন থেকেই টাকা জমানো শুরু করে এবং পড়াশোনা শেষ করে সেই টাকা দিয়ে প্রথম ব্যবসা করতে নামে। আবার কেউ যদি কয়েক বছর চাকরি করার পর মনে করে ব্যবসা করবে তাহলে চাকরির টাকা দৃষ্টি থেকে কিছু টাকা প্রতিমাসে জমিয়ে জমিয়ে ব্যবসার মূলধন গড়ে তোলা যায়। আরেকটি প্রচলিত উপায় হল পরিবারের লোকজনের কাছ থেকে মূলধন জোগাড় করা পরিবারের লোকজন যদি সাপোটিভ হয় এবং তাদেরকে যদি ব্যবসার পরিকল্পনা ঠিক ভাবে বোঝানো যায় তাহলে অধিকাংশ সময়ই তারা রাজি হয় সেই ব্যবসাতে মূলধনের জোগান দেয়াতে। হতে পারে বাবা, হতে পারে মা, হতে পারে চাচা, হতে পারে মামা, আবার হতে পারে ভাই বোন। মোহাম্মদী গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা আনিসুল হক যিনি পড়ে ঢাকা উত্তরের মেয়র হয়েছিলেন, তিনি তার বাবার জমানো চুরাশি হাজার টাকা দিয়ে নিজের ব্যবসা শুরু করেছিলেন। এবং সফল হয়েছিলেন। আনোয়ার গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের প্রতিষ্ঠাতা আনোয়ার হোসেন তার মায়ের রুপার চুড়ি বিক্রি করে টাকা জোগাড় করেছিলেন। 


বিচক্ষণ ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন উপায়ে তাদের মূলধন জোগাড় করেন। দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী সোহেল এফ রহমান এবং সালমান এফ রহমান তাদের পারিবারিক জমানো টাকা এবং ব্যাংক লোন নিয়ে ব্যবসা শুরু করেছিলেন। নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে তারা তাদের গড়ে তোলা প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো গ্রুপকে দেশের সর্ববৃহৎ প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলেছেন।

ব্যাংকের কাছ থেকে লোন নিয়ে ব্যবসা শুরু করা যায়। সে ক্ষেত্রে ব্যাংক থেকে নেয়া লোনের উপর সুদ দিতে হয় যা ব্যবসার জন্য খরচ বয়ে আনে। ব্যবসায় উদ্যোগ যখন বড় হয়, যখন মূলধনের প্রয়োজন বেশি হয়, তখন ব্যবসায়ীরা ব্যাংক থেকে লোন নেয়া কে একটি ভাল উপায় মনে করেন। ক্ষুদ্রঋণ আরেকটি উপায় মূলধন জোগাড় করার। নতুন ব্যবসায়ীরা অথবা তরুণ ব্যবসায়ীরা ব্যাংক থেকে সাধারণত লোন নিতে পারেন না। এই ধরনের ব্যবসায়ীরা তাদের আইডিয়া ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোকে জানিয়ে  সেখান থেকে মূলধন জোগার করতে পারেন। এর পাশাপাশি রয়েছে ভেঞ্চার ক্যাপিতালিস্টরা। ভেঞ্চার ক্যাপিতালিস্টরা সাধারণত উচ্চ হারে সুদের পরিবর্তে ব্যবসায়ীদের লোন দিয়ে থাকেন। বাংলাদেশে এদানিং ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্ট গড়ে উঠেছে। 


শুধুমাত্র একটি উপায়ে মূলধন জোগাড় করতে হবে তা-ও নয়। বিচক্ষণ ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন উপায়ে তাদের মূলধন জোগাড় করেন। দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী সোহেল এফ রহমান এবং সালমান এফ রহমান তাদের পারিবারিক জমানো টাকা এবং ব্যাংক লোন নিয়ে ব্যবসা শুরু করেছিলেন। নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে তারা তাদের গড়ে তোলা প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো গ্রুপকে দেশের সর্ববৃহৎ প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলেছেন এবং বিশ্বের নানা প্রান্তে বাংলাদেশের বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন। 



সাম্প্রতিক