সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে দুই নেতার মধ্যে অত্যন্ত সফল আলোচনা
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আশ্বাস দিয়েছেন যে বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় তিনি অব্যাহত সমর্থন দেবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফরকালে দুই নেতা ‘খুব সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে অত্যন্ত সফল আলোচনা’ করেছেন।
খুব সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে দুই নেতার মধ্যে অত্যন্ত সফল আলোচনা হয়। এসময় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান উপস্থিত ছিলেন।
দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেন, চীন অনুদান, সুদমুক্ত ঋণ,রেয়াতযোগ্য ঋণ এবং বাণিজ্যিক ঋণ দিয়ে বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সাহায্য করবে। দুই দেশের কারিগরি কমিটি একসঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নেবে যে, বাংলাদেশের উন্নয়নে চার ধরনের আর্থিক সহায়তা কীভাবে দেওয়া হবে। চীনের কারিগরি কমিটি শিগগিরই বাংলাদেশ সফর করবে বলেও জানান প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
খুব সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে দুই নেতার মধ্যে অত্যন্ত সফল আলোচনা হয়। এসময় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান উপস্থিত ছিলেন।
শেখ হাসিনা বাংলাদেশে আরও চীনা বিনিয়োগ চাইলে শি বলেন, তারা বাংলাদেশে ক্রমাগত আরও বিনিয়োগ করতে চান এবং বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেন। এর সাথে তিনি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত কয়েক দশকে চীনের অভূতপূর্ব উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, "উন্নয়নের ক্ষেত্রে চীন আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশের জন্য একটি অনুপ্রেরণা।" প্রধানমন্ত্রী কর্ণফুলী নদীর তলদেশে পদ্মা সেতু ও বঙ্গবন্ধু টানেলের মতো কিছু আইকনিক কাঠামো নির্মাণে বাংলাদেশকে সহায়তা করার জন্য চীনের প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানান।
শেখ হাসিনা দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতার বিষয়টি উত্থাপন করেন এবং চীনের প্রতি ব্যবধান কমানোর আহ্বান জানান। জবাবে চীনা প্রেসিডেন্ট বলেন, তারা বাংলাদেশ থেকে আমসহ আরও পণ্য আমদানি করবে। শি বাংলাদেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক মঞ্চে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, বিশ্ব শান্তি ও সমৃদ্ধি প্রতিষ্ঠায় চীন ও বাংলাদেশ একসঙ্গে কাজ করবে।