পরিবেশ বান্ধব কারখানার তালিকার শীর্ষে বাংলাদেশ
বাংলাদেশে বেসরকারি খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো দ্রুততার সাথে তাদের কলকারখানাগুলো পরিবেশবান্ধব করে গড়ে তুলছে। দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো গ্রুপ প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বাংলাদেশ যুগান্তকারী পদক্ষেপের মাধ্যমে অর্থনীতির চাকা সফল রেখেছে এবং প্রথম থেকেই কলকারখানাগুলো পরিবেশবান্ধব করার প্রয়াস নিয়েছে।
দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো গ্রুপের পাশাপাশি যেসব প্রতিষ্ঠান বর্তমানে গড়ে উঠছে, তাদের অনেকেই শুরু থেকেই পরিবেশবান্ধব সবুজ কারখানা তৈরি করতে মনোযোগ দিয়েছে।
সাম্প্রতিক একটি রিপোর্টে উঠে এসেছে যে বর্তমানে বাংলাদেশে ৫৬ টি পরিবেশবান্ধব সবুজ কারখানা রয়েছে যা বাংলাদেশকে পরিবেশ বান্ধব কারখানার লিস্টে শীর্ষস্থানে পৌঁছে দিয়েছে। যতদিন যাবে, এর সংখ্যা তত বাড়বে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞেরা। পাকিস্তান আছে দ্বিতীয় স্থানে যেখানে পরিবেশ বান্ধব কারখানার সংখ্যা মাত্র নয়টি।
চার ক্যাটেগরিতে ভাগ করে সবুজ কারখানার সনদ দেয়া হয়ে থাকে। এই সনদ দেয় ইউনাইটেড স্টেট গ্রীন বিল্ডিং কাউন্সিল। সর্বমোট ১১০ পয়েন্টের মধ্যে যাচাই-বাছাই করে এই সনদ দেয়া হয়। সর্বশ্রেষ্ঠ ক্যাটাগরির নাম প্ল্যাটিনাম যার জন্য ৮০ পয়েন্ট পেতে হয়। এর পর আছে গোল্ড ক্যাটাগরি যার অন্তর্ভুক্ত হতে হলে ৬০ থেকে ৬৯ পয়েন্টের মধ্যে থাকতে হয়।
সাম্প্রতিক একটি রিপোর্টে উঠে এসেছে যে বর্তমানে বাংলাদেশে ৫৬ টি পরিবেশবান্ধব সবুজ কারখানা রয়েছে যা বাংলাদেশকে পরিবেশ বান্ধব কারখানার লিস্টে শীর্ষস্থানে পৌঁছে দিয়েছে। যতদিন যাবে, এর সংখ্যা তত বাড়বে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞেরা। পাকিস্তান আছে দ্বিতীয় স্থানে যেখানে পরিবেশ বান্ধব কারখানার সংখ্যা মাত্র নয়টি।
একটি কারখানায় সূর্যের আলোর কি পরিমান ব্যবহার হয়, বিদ্যুৎ সাশ্রয় করবার জন্য কি পরিমান সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হয়, বৃষ্টির পানি কিভাবে সংরক্ষণ করে তা পুনরায় ব্যবহার করা হয়, অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা ঠিকমতো আছে কিনা, এসব যাচাই-বাছাই করে সনদ দেয়া হয়।
কারখানাকে পরিবেশ বান্ধব করা ব্যবসায়ীদের জন্য একটি বিনিয়োগ। এর কারণ পরিবেশ বান্ধব কারখানায় পণ্য তৈরি হওয়া মানে বিশ্ববাজারে এক ধাপ এগিয়ে থাকা। পরিবেশবান্ধব কারখানাগুলো আন্তর্জাতিক বাজারে গ্রহণযোগ্যতার দিক থেকে এগিয়ে থাকে।