ব্যবসা বাণিজ্য
-
বেক্সিমকো’র গ্রিন সুকুকের লেনদেন শুরু
2022-01-13 View 1350বেক্সিমকো গ্রিন সুকুক আল ইস্তিসনা বন্ড পথচলা শুরু করেছে। এই বন্ড দেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ইসলামি শরিয়াহভিত্তিক প্রথম বন্ড। প্রথম দিন লেনদেন ১১০ টাকায় শুরু হয়েছে। ডিএসই জানিয়েছে এই বন্ড ‘এন’ শ্রেণিতে অন্তর্ভুক্ত। বিনিয়োগকারীরা এ বন্ড কেনার জন্য প্রথম ৩০ কার্যদিবস কোন ঋণসুবিধা পাবেন না। ডিএসইতে বেক্সিমকো গ্রিন সুকুক আল ইস্তিসনার ট্রেডিং কোড হচ্ছে ‘BEXGSUKUK’। গ্রিন সুকুক আল ইস্তিসনার তালিকাভুক্তি উপলক্ষে ডিএসই এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা এবং বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান প্রধান অতিথি ছিলেন এ অনুষ্ঠানের। বিশেষ অতিথি ছিলেন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম। ৩ হাজার কোটি টাকার বেক্সিমকো গ্রিন সুকুক আল ইস্তিসনা বন্ডের অভিহিত মূল্য ১০০ টাকা। এ সুকুকের মেয়াদ হবে পাঁচ বছর। বাংলাদেশ মুসলিম প্রধান দেশ। ধারনা করা হয় সুদের বন্ডের চেয়ে ইসলামিক বন্ডের (সুকুক) চাহিদা বেশি হবে। শেয়ারবাজারের তথ্য মতে সাধারণ বিনিয়োগকারী ও বিদ্যমান বিনিয়োগকারীরা আগ্রহ দেখাননি। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা অন্যদিকে বেশ আগ্রহ দিখিয়েছেন। ইন্ডাস্ট্রি এক্সপার্টদের মতে এদেশের মানুষ সুদকে এড়িয়ে চলতে চায়; এবং সেই জন্য এ জন্য ইসলামিক বন্ড (সুকুক) জনপ্রিয় হবে। বেক্সিমকো গ্রুপ জানিয়েছে শরিয়াহভিত্তিক এই বন্ডটির মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থ কোম্পানির সাবসিডিয়ারি তিস্তা সোলার লিমিটেড ও করতোয়া সোলার লিমিটেডের নির্মাণকাজে বিনিয়োগ করা হবে। পাশাপাশি কোম্পানির বস্ত্র খাতের সম্প্রসারণে ও যন্ত্রপাতি কেনাতেও এই বন্ডটির মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থ ব্যায় করা হবে। সিটি ব্যাংক ক্যাপিটাল রিসোর্সেস সুকুকের ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছে।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য ২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দেবে এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভ
এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (এআইআইবি) সম্প্রতি বাংলাদেশকে কোভিড-১৯ এর প্রভাব থেকে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য একটি সরকারি কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য ২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। মহামারীর প্রভাব থেকে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের জন্য অর্থ বিভাগ নীতি সংস্কারের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের এই কর্মসূচিতে কো-ফাইনান্সার হিসেবে ২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দিবে। এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক এই কর্মসূচির আওতায় পাবলিক ফাইন্যান্স ম্যানেজমেন্ট (পিএফএম) ব্যবস্থার সংস্কার ও শক্তিশালীকরণ এবং অর্থ সংস্থান সম্প্রসারণের মাধ্যমে ব্যয় হ্রাস করণের পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এই কর্মসূচির লক্ষ্য ক্ষুদ্র, মাঝারি ও কুটির শিল্প উদ্যোক্তাদের জন্য অর্থায়নের সুযোগ তৈরি করা। ঋণের পরিশোধের সময়কাল ৩ বছর গ্রেস পিরিয়ডসহ ২০ বছর। এআইআইবি চীনের উদ্যেগে ২০১৬ সালে একটি আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিবেবে যাত্রা শুরু করে। এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে অবকাঠামো উন্নয়নে আর্থিক সহায়তা করাই এই ব্যাংকের উদ্দেশ্য। এআইআইবিকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল(আইএমএফ), বিশ্ব ব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের বিকল্প মনে করা হয়। এসব প্রতিষ্ঠান মুলত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান দ্বারা প্রভাবিত।
ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর কোভিড-১৯ এর মুখে খাওয়ার ঔষধ উৎপাদনের জন্য বেক্সিমকো, এসকায়েফ, স্কয়ার এবং রেন
ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর (DGDA) সম্প্রতি বেক্সিমকো, স্কয়ার, এসকায়েফ এবং রেনাটা ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলিকে মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারক Merck & Co Inc and Ridgeback Biotherapeutics দ্বারা তৈরি বিশ্বের প্রথম কোভিড-১৯ পিল মলনুপিরাভির (Molnupiravir) উৎপাদন ও বিপণনের জন্য অনুমোদন দিয়েছে। বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় দেশ হিসেবে এই অ্যান্টিভাইরাল পিল অনুমোদন করেছে। কোম্পানিগুলো মলনুপিরাভির উৎপাদন করে স্থানীয় এবং বিদেশী উভয় বাজারে সরবরাহ করতে পারবে। অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকা অন্যান্য কোম্পানি হলো জেনারেল ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড, হেলথ কেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড এবং পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক সংস্থাগুলো যৌথভাবে পরীক্ষামূলকভাবে মুখে খাওয়ার যোগ্য এই অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ তৈরি করেছে, যা মূলত ফ্লু চিকিৎসার জন্য তৈরি করা হয়েছিল। এই ওষুধটি কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর হাসপাতালে ভর্তি হওয়া বা মৃত্যুর ঝুঁকি প্রায় অর্ধেক কমিয়ে দেয়।রেনাটা লিমিটেডের কোম্পানি সচিব মোঃ জুবায়ের আলম জানান, তাদের পণ্যের নাম লুপ্রাভির এবং প্রতিটি ট্যাবলেটের দাম ৫০ টাকা। তবে এই ঔষধটি শুধুমাত্র হালকা কোভিড-১৯ উপসর্গযুক্ত রোগীরএর চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হবে। ১৮ বছরের কম বয়সী রোগীদের জন্য এটি ব্যবহার করা যাবে না। যুক্তরাজ্যের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা, মেডিসিনস অ্যান্ড হেলথ কেয়ার প্রোডাক্ট রেগুলেটরি এজেন্সি বা MHRA বাংলাদেশের স্কয়ার, এসকায়েফ, ইনসেপ্টা, রেনাটা ফার্মাসিউটিক্যাল এবং বেক্সিমকো-এর কারখানগুলোর অনুমোদন দিয়েছে। বেক্সিমকো এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে তারা এটি ইমোরিভির (Emorivir) নামে বাজারজাত করবে।
সাফল্যের ফর্মুলা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন সোহেল এফ রহমান
সোহেল এফ রহমানের হাতে রয়েছে সাফল্যের ফর্মুলা। যেসব উদ্যোগ তিনি হাতে নিয়েছেন, তার সকল সাফল্যের সাথে বাস্তবায়ন করেছেন। তিনি একাধারে একজন উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী, সমাজসেবী এবং নীতি-নির্ধারক। দেশের জন্য এবং দেশের মানুষের জন্য অদম্য চেষ্টায় শক্তি দিয়ে সামনের দিকে সর্বদা সামনে হেঁটেছেন এই মানুষ। সোহেল এফ রহমান বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে অন্যতম। বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যিক পরিমণ্ডল, সামগ্রিক অর্থনীতি, বেসরকারি খাতের উন্নয়ন যেসব দূরদর্শী এবং নিষ্ঠাবান ব্যবসায়ীদের হাত ধরে এসেছে, সোহেল এফ রহমান তাদের একজন। ছোট ভাই সালমান এফ রহমান কে সাথে নিয়ে সোহেল এফ রহমান গড়ে তুলেছেন বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো গ্রুপ। দেশের মানচিত্র ছাড়িয়ে বেক্সিমকো গ্রুপ এখন পরিচিত আন্তর্জাতিক মহলে। সারা বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির সাফল্যের চিহ্ন। বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য উন্নয়ন এবং শিল্প উন্নয়নে বেক্সিমকো গ্রুপকে বলা হয়ে থাকে পথপ্রদর্শক। বেক্সিমকো গ্রুপ যা আজকে করে, অন্য প্রতিষ্ঠান সেটা আগামী পরশু করবে। সোহেল এফ রহমানের বেক্সিমকো গ্রুপ এগিয়ে চলেছে দুর্বার গতিতে। এই বছরই পুঁজিবাজারকে অধিক গতি এনে দেবার লক্ষ্যে অর্থ সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। পুঁজিবাজারে ছেড়েছে সুসুক বন্ড। ঔষধ শিল্প থেকে সিরামিক, আইটি থেকে টেলি কমিউনিকেশনস, প্রতিটি সেক্টরে বেক্সিমকো গ্রুপ সফলতার সাথে বিচরণ করছে এবং প্রতিমুহূর্তে নতুন নতুন প্রোডাক্ট ও সার্ভিস উপহার দিচ্ছে। তথ্য উপাত্তঃ নিভৃতচারী ব্যবসায়ী সোহেল এফ রহমান একই রকম অবদান সোহেল এফ রহমান রেখেছেন বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতেও। ১৯৭৬ সালে তিনি উদ্যোগ নেন বেসরকারি ব্যাংক স্থাপনের। প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারি ব্যাংক আই এফ আই সি। এরপর ১৯৮১ সালে প্রতিষ্ঠা করেন আর একটি বেসরকারি ব্যাংক - আরব বাংলাদেশ ব্যাংক। তথ্য উপাত্তঃ বাংলাদেশ অর্থনৈতিক পরাশক্তি হিসাবে আত্মপ্রকাশ করছে সোহেল এফ রহমান তার প্রজ্ঞা এবং দূরদর্শিতা দিয়ে শুধু বেক্সিমকো গ্রুপকে প্রতিষ্ঠা করেননি, পাশাপাশি দেশের সার্বিক ব্যবসা-বাণিজ্যকে অগ্রগতির হাইওয়েতে আনবার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন এবং সফল হয়েছেন। যার ফলে দেশের মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন হয়েছে। ভেবেছেন দারিদ্র বিমোচন এবং মানবাধিকার নিয়েও। নিয়েছেন নানা পদক্ষেপ।
বেক্সিমকো ফার্মা সানোফি বাংলাদেশের অধিকাংশ শেয়ার অধিগ্রহণ করেছে
বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ফার্মাসিটিক্যাল কোম্পানি বেক্সিমকো ফার্মা সম্প্রতি বহুজাতিক ঔষধ কোম্পানি সানোফি বাংলাদেশের অধিকাংশ শেয়ার অধিগ্রহণ করে নিয়েছে। এর মাধ্যমে বেক্সিমকো ফার্মা তাদের প্রডাক্ট লাইন আরো সমৃদ্ধ করলো এবং কোম্পানিটির ভিত্তি আরো মজবুত করলো। আন্তর্জাতিক বাজারে বেক্সিমকো ফার্মার সুনাম বৃদ্ধি পাবে এই অধিগ্রহণের ফলে বলে মনে করছেন ফার্মা শিল্পর সাথে সংক্লিষ্টরা। স্বাধীনতার পর পর ১৯৭২ সালে সোহেল এফ রহমান এবং সালমান এফ রহমান ভাতৃদ্বয় যে কোম্পানি শুরু করেছিলেন অনেক স্বপ্ন নিয়ে, সেই স্বপ্নের কোম্পানি আজকে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে পরিচিত হয়েছে। বিশ্বদরবারে তুলে ধরেছে বাংলাদেশের নাম। দূরদর্শী এবং সফল ব্যবসায়ী সোহেল এফ রহমান ও সালমান এফ রহমান স্বাধীনতার পরপরই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাংলাদেশ থেকে সামুদ্রিক খাবার এবং হার চূর্ণ ইউরোপের বাজারে রপ্তানি করবেন এবং ইউরোপ থেকে মানসম্পন্ন ঔষধ দেশে আমদানি করবেন। তারই পরিক্রমায় কিছু বছর পর গঠিত হয়েছিল বেক্সিমকো ফার্মা। সোহেল এফ রহমান সংক্রান্ত তথ্যঃ নিভৃতচারী ব্যবসায়ী সোহেল এফ রহমান বাংলা ট্রিবিউনের বিস্তারিত খবরঃ সানোফি অধিগ্রহণের অনুমোদন পেলো বেক্সিমকো সানোফি গ্রুপ সারা বিশ্বে একটি পরিচিত নাম। বাংলাদেশ ১০০ ধরনের ঔষধ বিক্রি করে। ২০১৯ সালে ফরাসি এই কোম্পানি জানায় যে তারা মনে করে বাংলাদেশে ব্যবসার সম্ভাবনা তারা কাজে লাগানোর মতন অবস্থানে ছিল না যে কারণে তারা শেয়ার বিক্রি করে দিতে সিদ্ধান্ত নেয়। বাংলাদেশের শেয়ার অধিগ্রহণের জন্য বেক্সিমকো ফার্মা খরচ করেছে ৪৬৯ কোটি টাকা। এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ ইনভেস্টমেন্ট ডিপার্টমেন্ট বেক্সিমকো ফার্মাকে শেয়ার অধিগ্রহণের অনুমোদন দেয়। সানোফি বাংলাদেশের সুনাম রয়েছে উচ্চ মানের ঔষধ উৎপাদনের। একই সুনাম রয়েছে বেক্সিমকো ফার্মার। সানোফি গ্রুপ এর কাছে ছিল ৫৪.৬ শতাংশ শেয়ার। বর্তমানে তা বেক্সিমকো ফার্মা কিনে নিয়েছে। বেক্সিমকো ফার্মা সিটি গ্রুপের সাথে যেই চুক্তি করেছে সেই চুক্তির আওতায় ঢাকার অদূরে থাকা টঙ্গীতে ২৫ একর জায়গাজুড়ে শ্রেণীর যেই কারখানা রয়েছে, তার মালিকানা ও পাবে বেক্সিমকো গ্রুপ। স্বাধীনতার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে শিল্প কারখানা বিকাশের স্বপ্ন নিয়ে সোহেল এফ রহমান এবং সালমান এফ
সফল ব্যবসায়ী হতে হলে কি কি গুণ থাকা প্রয়োজন?
সফল ব্যবসায়ীদের কিছু একটা থাকে যা অন্য সবার থাকে না। কেউ কেউ বলেন এক্স ফ্যাক্টর। তা হতে পারে। তবে সফল ব্যবসায়ী হতে হলে কিছু কিছু গুণ থাকতেই হয়। যেমন ব্যবসার সঠিক জ্ঞান। সঠিক এবং পর্যাপ্ত জ্ঞান ছাড়া কোন ব্যবসায় সফল হতে পারেননি এখন পর্যন্ত। পর্যাপ্ত জ্ঞান থাকার ফলে অবস্থা বিশ্লেষণ করে তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং সফল হয়েছেন। অন্য একটি গুণ সফল ব্যবসায়ীদের মধ্যে বিরাজ করে, সেটা হল সময়ে জ্ঞান। সময় সম্পর্কে যেসব ব্যবসায়ী সঠিক জ্ঞান রাখতে পারেন, তাদের সফল হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। সময়ের সদ্ব্যবহার না করলে ব্যবসা একসময় মুখ থুবড়ে পড়ে। দূরদর্শিতা এমন একটি গুণ যা অন্য সবার থেকে সফল ব্যবসায়ীদের এগিয়ে রাখে। ভবিষ্যতের ব্যবসার ধরন কি হবে, দেশ এবং পৃথিবীর অর্থনীতি কোন গতিতে চলবে, কোন ধরনের ব্যবসা ভবিষ্যতে সফলতা বয়ে আনবে, সেইসব সফল ব্যবসায়ীরা তাদের দূরদর্শিতা ফলস্বরূপ বুঝে ফেলেন এবং সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেন। সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতা ও একটি প্রয়োজনীয় গুন। কথায় বলে সময় গেলে হয়না সাধন। সাহসের সাথে এবং দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতার উপর অনেক ব্যবসা সফলতা এবং বিফলতা নির্ভর করে। নিতে হয় সঠিক সময়ে ঠিক সিদ্ধান্ত। এছাড়া ব্যক্তিগত গুণাবলী এবং নির্ভরযোগ্যতা অর্জনের ক্ষমতা ও সফল ব্যবসায়ীদের গুণের মধ্যে পড়ে।
ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম নির্বাচন
ব্যবসার ধরনের মতনই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম সাফল্যের ওপর প্রভাব ফেলে। যেই সেই নাম দিয়ে ব্যবসা শুরু করলে সাফল্য পাবার সম্ভাবনা একটু হলেও কমে যায়। নিচে উল্লেখ করে দেয়া হল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নাম নির্ধারণ করার আগে কি কি জিনিস মনে রাখা দরকার। ১। এক অথবা দুই শব্দের নাম নির্বাচন করা দরকার। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নাম বড় হলে অনেক গ্রাহক তা মনে রাখতে পারবে না। আর মনে না রাখতে পারলে ব্যবসার প্রচার হবে না। তাই প্রয়োজন ছোট নাম নির্বাচন করা। ছোট নাম রাখলে আরেকটি সুবিধা আছে, সাইন বোর্ড সাইন বোর্ড ওয়েবসাইট এবং বিজনেস কার্ড এ খুব সহজেই প্রতিষ্ঠানের নাম জায়গা হয়ে যাবে। প্রতিষ্ঠানের নামঃ বড় হলে ঝামেলা বেজে যেতে পারে। তবে একান্তই যোদি বড়নাম রাখতে হয় তাহলে শর্ট ফর্ম ব্যবহার করা উচিত। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় দেশের সর্ববৃহৎ এবং শীর্ষস্থানীয় কোম্পানির নাম বেক্সিমকো গ্রুপ। কোম্পানির নাম শুরুতে ছিল বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি লিমিটেড। ২। প্রতিষ্ঠানের নাম যাতে সহজ বানান দিয়ে হয় সেটার দিকে নজর রাখতে হবে। যত কঠিন বানান, ততো জামেলা। কঠিন বানান হলে গ্রাহকরা অনলাইনে খুঁজে পাবেনা। আর খুঁজে না পেলে ব্যাবসাও পারবে না। ৩। ব্যবসার ধরনের সাথে মানানসই নাম রাখা প্রয়োজন। যেমন কেউ ফিশারিজ ব্যবসায় বিনিয়োগ করলে। নামের মাঝে যদি ফিশারিজ থাকে তাহলে সেটা ব্যবসার প্রচার এবং প্রসারে অবদান রাখবে। ৪। ছোট নাম রাখার পাশাপাশি একটি আকর্ষণীয় এবং ট্রেন্ডি নাম রাখতে হবে। এমন নাম রাখতে হবে যেটা গ্রাহকদেরকে আকৃষ্ট করতে পারে।
পাল্টে যাচ্ছে দোহার-নবাবগঞ্জ
দ্রুত গতীতে পাল্টে যাচ্ছে দোহার-নবাবগঞ্জ। ঢাকা-১ (দোহার-নবাবগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য সালমান এফ রহমানের দূরদর্শিতায় সম্ভব হচ্ছে এই পাল্টে যাওয়া। তার নেয়া পদক্ষেপগুলো ও প্রস্তাবিত প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হচ্ছে একে একে। ফল পেতে শুরু করেছে সাধারন মানুষ। সালমান এফ রহমানের নেয়া পদক্ষেপ গুলোর মধ্যে যেসব বর্তমানে বাস্তবায়নের দ্বার প্রান্তে রয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য গুলো হল দোহার-নবাবগঞ্জ এলাকার জনসাধারণের অর্থনৈতিক মুক্তি এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি লক্ষ্যে দৌলতপুর অর্থনৈতিক শিল্প এলাকা প্রতিষ্ঠা, নবাবগঞ্জ উপজেলা সরকারি হাসপাতালটিকে ১০০শয্যায় উন্নত করা, বসিলা বাইপাস সড়ক নির্মাণ, নবাবগঞ্জ উপজেলায় একটি আধুনিক নার্সিং ইনস্টিটিউট স্থাপন, শেখ রাসেল আইটি পার্ক প্রতিষ্ঠা, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মহিলা প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট স্থাপন, এবং এলাকার খামারিদের দুধের ন্যায্য দাম নিশ্চিত করতে মিল্কভিটা প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র স্থাপন। সালমান এফ রহমানের অনেক দিনের স্বপ্ন দোহার-নবাবগঞ্জকে মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলবেন। সেই লক্ষে কাজ এগিয়ে নিচ্ছেন তিনি। ঢাকা ১ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবার পরেই দোহারের সাধারন জনগনের সুস্বাস্থ্য এবং স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সালমান এফ রহমান এলাকায় ২৪০ টি আর্সেনিক মুক্ত টিউবওয়েল স্থাপন করেন। নির্বাচিত হবার আগ থেকেই দোহার এবং নবাবগঞ্জের বিভিন্নস্থানে তিনি স্কুল মসজিদ এবং মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেছেন। সারা দেশ থেকে যে চৌদ্দটি উপজেলাকে নগরায়ন এবং আধুনিকায়নের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্যোগ নিয়েছেন সেই তালিকায় সালমান এফ রহমান দোহার-নবাবগঞ্জকে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। তার অন্যান্য পদক্ষেপ গুলোর মধ্যে রয়েছে দোহার-নবাবগঞ্জকে একটি শান্তির জনপদ হিসেবে গড়ে তোলার এবং এখানে একটি স্যাটেলাইট সিটি নির্মাণ।
রুহুল তালুকদারের সাফল্য
রুহুল তালুকদার। ব্রাজিলের প্রবাসী বাংলাদেশী। ইচ্ছাশক্তি এবং কর্ম দিয়ে নিজেকে একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলেছেন। সেটা ব্রাজিলের মাটিতে। তার বাড়ি কেরানীগঞ্জে। ৬ বছর আগে ব্রাজিলে পৌঁছান আর্থিক অবস্থার উন্নতির স্বপ্ন নিয়ে। চূড়ান্ত ইচ্ছাশক্তি এবং কাজের প্রতি নিষ্ঠা নিয়ে এই ৬ বছরে নিজের ভিত্তি জোরদার করেন। তার একটি প্রতিষ্ঠান আছে যেখানে কাপড় বিক্রি হয়। নিজের ব্র্যান্ডের নাম দিয়েছেন বাংলা জিন্স। দেশের গার্মেন্টস শিল্প যেমন উন্নতি করেছে, তেমনি রুহুল তালুকদার তার বাংলা জিন্স ব্র্যান্ড ব্রাজিলের বাজারে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। বিভিন্ন মার্কেটিং কৌশল ব্যবহার করেছেন। বেশিরভাগ কৌশল এর সুফল পেয়েছেন। ব্রাজিলের মার্কেটে তার প্রতিষ্ঠান শার্ট এবং প্যান্ট এর চাহিদা তৈরি হয়েছে। আর্থিক অবস্থার উন্নতির আশায় গিয়েছিলেন ব্রাজিলে। আশা পূরণ হয়েছে রুহুল তালুকদারের। এখন তিনি কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে দিতে পারেন। এটা তা বড় প্রাপ্তি। তার ইচ্ছা তার ব্র্যান্ডটিকে ল্যাটিন আমেরিকার অন্যান্য দেশেও পরিচিত করতে। সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন।
আমেরিকার বিনিয়োগকারীদের আশ্বাস দিয়েছে সরকার
বাংলাদেশ সরকার আমেরিকার বিনিয়োগকারীদের জানিয়েছে যে সরকারের তরফ থেকে সকল প্রকার সাহায্য এবং সহযোগিতা করা হবে যদি আমেরিকা থেকে কেউ বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চায়। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান আমেরিকার লস এঞ্জেলেসে বাংলাদেশের কনস্যুলেট অফিসে এক অনুষ্ঠানে সরকারের তরফ থেকে আমেরিকার বিনিয়োগকারীদের এ কথা জানান। 'বাংলাদেশ নিউ ফ্রন্টিয়ের: ইনভেস্টমেন্ট অপরচুনিটি ফর ফরেন ইনভেস্টরস এন্ড এক্সপেটরিওটস' শিরোনামের এক সেমিনারে সালমান এফ রহমান বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে বাংলাদেশ সরকার গত ১০ বছরে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে যার ফলে দেশে বৈদেশিক বিনিয়োগ বেড়েছে। তিনি বলেন, সরকারের প্রচেষ্টা চলমান থাকবে। সালমান এফ রহমান তার বক্তব্যে সরকারের সাফল্য এবং ভবিষ্যত উন্নয়ন পরিকল্পনা তুলে ধরেন। তিনি আমেরিকান বিনিয়োগকারীদের আমন্ত্রণ জানান বাংলাদেশে বিনিয়োগ করবার জন্য। তার বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন যে বাংলাদেশ এখন একটি ব্যবসা বান্ধব গন্তব্য হিসেবে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে। আমেরিকা এবং বাংলাদেশের ব্যাবসায়িক বন্ধুত্ব অতি পুরনো। দুই দেশ দ্বিপাক্ষিক সমঝোতার মাধ্যমে বাংলাদেশ সৃষ্টির পর থেকেই ব্যবসা বাণিজ্য চালিয়ে আসছে। ভৌগলিক সীমারেখা অনেকক্ষেত্রে এখন কমে গেছে। বাংলাদেশ সরকার আশা করে যে, দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং সম্প্রীতি ভবিষ্যতে আরো অটুট হবে।