সাম্প্রতিক
-
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য ২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দেবে এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভ
2021-12-04 View 1076এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (এআইআইবি) সম্প্রতি বাংলাদেশকে কোভিড-১৯ এর প্রভাব থেকে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য একটি সরকারি কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য ২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। মহামারীর প্রভাব থেকে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের জন্য অর্থ বিভাগ নীতি সংস্কারের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের এই কর্মসূচিতে কো-ফাইনান্সার হিসেবে ২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দিবে। এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক এই কর্মসূচির আওতায় পাবলিক ফাইন্যান্স ম্যানেজমেন্ট (পিএফএম) ব্যবস্থার সংস্কার ও শক্তিশালীকরণ এবং অর্থ সংস্থান সম্প্রসারণের মাধ্যমে ব্যয় হ্রাস করণের পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এই কর্মসূচির লক্ষ্য ক্ষুদ্র, মাঝারি ও কুটির শিল্প উদ্যোক্তাদের জন্য অর্থায়নের সুযোগ তৈরি করা। ঋণের পরিশোধের সময়কাল ৩ বছর গ্রেস পিরিয়ডসহ ২০ বছর। এআইআইবি চীনের উদ্যেগে ২০১৬ সালে একটি আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিবেবে যাত্রা শুরু করে। এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে অবকাঠামো উন্নয়নে আর্থিক সহায়তা করাই এই ব্যাংকের উদ্দেশ্য। এআইআইবিকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল(আইএমএফ), বিশ্ব ব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের বিকল্প মনে করা হয়। এসব প্রতিষ্ঠান মুলত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান দ্বারা প্রভাবিত।
ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর কোভিড-১৯ এর মুখে খাওয়ার ঔষধ উৎপাদনের জন্য বেক্সিমকো, এসকায়েফ, স্কয়ার এবং রেন
ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর (DGDA) সম্প্রতি বেক্সিমকো, স্কয়ার, এসকায়েফ এবং রেনাটা ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলিকে মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারক Merck & Co Inc and Ridgeback Biotherapeutics দ্বারা তৈরি বিশ্বের প্রথম কোভিড-১৯ পিল মলনুপিরাভির (Molnupiravir) উৎপাদন ও বিপণনের জন্য অনুমোদন দিয়েছে। বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় দেশ হিসেবে এই অ্যান্টিভাইরাল পিল অনুমোদন করেছে। কোম্পানিগুলো মলনুপিরাভির উৎপাদন করে স্থানীয় এবং বিদেশী উভয় বাজারে সরবরাহ করতে পারবে। অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকা অন্যান্য কোম্পানি হলো জেনারেল ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড, হেলথ কেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড এবং পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক সংস্থাগুলো যৌথভাবে পরীক্ষামূলকভাবে মুখে খাওয়ার যোগ্য এই অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ তৈরি করেছে, যা মূলত ফ্লু চিকিৎসার জন্য তৈরি করা হয়েছিল। এই ওষুধটি কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর হাসপাতালে ভর্তি হওয়া বা মৃত্যুর ঝুঁকি প্রায় অর্ধেক কমিয়ে দেয়।রেনাটা লিমিটেডের কোম্পানি সচিব মোঃ জুবায়ের আলম জানান, তাদের পণ্যের নাম লুপ্রাভির এবং প্রতিটি ট্যাবলেটের দাম ৫০ টাকা। তবে এই ঔষধটি শুধুমাত্র হালকা কোভিড-১৯ উপসর্গযুক্ত রোগীরএর চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হবে। ১৮ বছরের কম বয়সী রোগীদের জন্য এটি ব্যবহার করা যাবে না। যুক্তরাজ্যের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা, মেডিসিনস অ্যান্ড হেলথ কেয়ার প্রোডাক্ট রেগুলেটরি এজেন্সি বা MHRA বাংলাদেশের স্কয়ার, এসকায়েফ, ইনসেপ্টা, রেনাটা ফার্মাসিউটিক্যাল এবং বেক্সিমকো-এর কারখানগুলোর অনুমোদন দিয়েছে। বেক্সিমকো এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে তারা এটি ইমোরিভির (Emorivir) নামে বাজারজাত করবে।
ডেট্রয়েট শহরে প্ল্যান্ট স্থাপন করবে বেক্সিমকো গ্রুপ
ব্লুমবার্গ এক প্রতিবেদনে বলেছে বেক্সিমকো গ্রুপ আমেরিকার ডেট্রয়েট শহরে একটি প্ল্যান্ট স্থাপন করবে যেখানে মাস্ক ও ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম তৈরি হবে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে শিকাগোভিত্তিক জেস্ট ডিজাইনসের সঙ্গে ইতিমধ্যে বেক্সিমকো গ্রুপ চুক্তি সই করেছে। ডেট্রয়েটে স্থানীয় সরকার ও নগর কর্তৃপক্ষ বেক্সিমকোকে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে। মাইক ডুগান, ডেট্রয়েট সিটির মেয়র, এই উদ্যোগকে স্বাগতম জানিয়েছেন। বেক্সিমকোর টেক্সটাইল ডিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ নাভিদ হোসেন ব্লুমবার্গকে জানিয়েছেন তারা ২০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। এছাড়া তারা ৩০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে বাংলাদেশে পিপিই ইন্ডাস্ট্র্রিয়াল পার্ক তৈরি করতে।
দোহার-নবাবগঞ্জবাসীর পাশে সালমান এফ রহমান
দোহার-নবাবগঞ্জবাসীর পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন সালমান এফ রহমান। তিনি এই এলাকার সংসদ সদস্য। করোনাভাইরাসের কারনে কর্মহীন, দুস্থ ও হতদরিদ্র মানুষ ভীষণ আসুবিধায় পরেছে। সালমান এফ রহমান ফজলুর রহমান ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে দোহার-নবাবগঞ্জের ৬১ হাজার পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন। দোহার উপজেলায় ৩৩ হাজার পরিবারকে ও নবাবগঞ্জ উপজেলায় ২৮ হাজার পরিবারকে এই খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়। এছাড়া তিনি নবাবগঞ্জের ৯৮১০টি ও দোহারের ৮৮৮৫টি পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর নগদ আর্থিক সুবিধার আওতায় নিয়ে এসেছেন। ফজলুর রহমান ফাউন্ডেশনের কার্যক্রমের আওতায় কৃষি শ্রমিক, দিনমজুর, নির্মাণ শ্রমিক, দোকানের কর্মচারী, হকারসহ নানান পেশার মানুষদের নিয়ে আসা হয়েছে।